সংঘর্ষ এড়াতে পূর্ব লাদাখে পেট্রোলিং প্রোটোকল নিয়ে কথা, প্যাংগং-এর নীল জলে হারিয়ে যাচ্ছে সমাধান সূত্র

পূর্ব লাদাখ সীমান্তের উত্তাপ কমাতে সামরিক আলোচনা
কূটনৈতিক স্তরেও কথা বলছে ভারত-চিন
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা সরানো নিয়ে আলোচনা 
পেট্রোলিং প্রোটোকল নিয়েই চলছে কথা 
 

গালওয়ানের স্মৃতি যাতে আর ফিরে না আসে তার জন্য ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে ভারত ও চিন। দুই দেশের কূটনীতিকরা আগামী দিনে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখায় কী কী নীতি অনুসরণ করা হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। সোজা কথায় সংঘর্ষ এড়াতে একটি পেট্রোলিংং প্রোটোকল নিয়ে কথাবার্তা চলছে দুই দেশের মধ্যে।  অন্যদিকে পূর্ব লাদাখের ১,৫৯৭ কিলোমিটার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা এলাকায় সেনা সরানো নিয়ে আলোচনা করছেন দুই দেশের সামরিক প্রধানরা। 

সাউথব্লক সূত্রের খবর পিপিলস লিবারেশন আর্মি রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করার পাশাপাশি ফাইবার অপটিক কেবল ও সৌর প্যানেল বসিয়েছেন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা বরাবার। যা নিয়ে আগামী দিনে প্রেট্রোলিংএর সময় সমস্যা হতে পারে বলেই মনে করছে একাংশ। তাইজন্য আগে থেকেই পেট্রোলিং প্রোটোকল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। 

Latest Videos

একটি সূত্র বলছে প্রথম পদক্ষেপটি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া। ১৯৯৩-৯৬ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে উভয় দেশি আগামী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে বলেই সূত্রের খবর। কারণ সেই সময়ের চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশই সংঘর্ষ এড়াতে খুব অল্প সংখ্যক সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। অন্যদিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে খুব তাড়াতাড়ি সেনা সরানোর কাজ চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত জট কাটেনি প্যাংগং-এর ফিঙ্গার এলাকা ও ১৭ নম্বর গোগরা পোস্ট এলাকায়। এই দুটি এলাকার জন্য দুই দেশই দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান পথ খুঁজছে বলেই সূত্রের খবর। 

একটি সূত্র আবার বলছে দীর্ঘ মেয়াদি সমাধান তখনই পাওয়া যাবে যখন ভারত ও চিন সীমান্তে উত্তাপ কিছুটা কমবে। পেট্রোলিং-এ একটি সুনির্দিষ্ট প্রোটোকল থাকবে। যা অবশ্যই দুই দেশের কর্তৃব্যরত সেনারা মেনে চলবে। সেনা সূত্রের খবর ভারত ও চিন উভয় দেশই মাসে একবার করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর টহল দিতে পারবে একই সঙ্গে দুই দেশের সেনারাই যে কোনও রকম বিবাদ এড়িয়ে চলবে। তবে ভারতীয় সেনা বাহিনীর এক কর্তা জানিয়েছেন দুই দেশই সীমান্তে পরিকামো তৈরির দিকে নজর দিয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় এখনও পর্যন্ত টহলদারি বাড়ায়নি।


জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ও ভারতীয় সেনা বাহিনীর এক কর্তা বলেছেন চিনকে পুরোপুরি বিশ্বাস করা কখনও ঠিক নয়। সীমান্তে যে কোনও নির্মাণ কাজ তৈরির জন্য ভারতের তুলনায় চিন অনেক বেশি সক্রিয়।  তাই পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে দুই দেশেরই সীমান্তে অতি সক্রিয় ভূমিকা হ্রহম না করাই শ্রেয় বলে মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে আকসাই চিনে চিনা সেনার মোতায়েন অগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই কিছুটা হলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। এক সেনা কর্তার কথায় এটাই ঠিক যে, চিন যেমন ভারতীয় সীমান্তের এপারে কোনও কাজকে বাধা দিতে পারে না ভারতের ক্ষেত্রেই ঠিক তাই। তবে এটাই ঠিক যে বর্তমানে দুই দেশের সেনা অবস্থান করলেও গালওয়ানের পর থেকে আর কোনও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। যা নিয়ে দুই দেশের সেনা কর্তারা কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেলেছেন। 


 

Share this article
click me!

Latest Videos

প্রেমের আড়ালে লক্ষাধিক টাকা লুঠ! প্রতারণার নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর কাহিনি | South 24 Parganas News Today
'যেসব মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদেরই পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিল' বিস্ফোরক অর্জুন
West Bengal-এ জঙ্গিযোগ নিয়ে Mamata Banerjee-কে চরম তুলোধোনা Agnimitra Paul-এর! দেখুন কী বললেন
'তৃণমূলের দুয়ারে সরকার এখন দুয়ারে জঙ্গি', তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর | Suvendu Adhikari
চমকে উঠবেন! কৃষ্ণনগর পক্সো আদালতের বড় সাজা ঘোষণা | Nadia Latest News