বুধবার সকালেই লাখিমপুর খেরির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। অভিযোগ সেখানে যেতে তাঁকে বাধা দেয় উত্তর প্রদেশ সরকার। এই অবস্থায় রাহুল গান্ধী দীর্ঘ অপেক্ষের পর এদিন সন্ধ্যে বেলা সীতাপুর পৌঁছান।
অবশেষে দীর্ঘ প্রতিকূলতা পার হয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) উত্তর প্রদেশের লাখিমপুর খেরিতে (UP, Lakhimpur Kaheri) পৌঁছাতে পেরেছেন। বুধবার সন্ধ্যেবেলা তাঁরা নিহত কৃষক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) লাখিমপুর খেরিকাণ্ডে স্বতঃপ্রোণদিত হয়ে মামলা রুজু করেছে। বৃহস্পতিবার প্রধানবিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।
বুধবার সকালেই লাখিমপুর খেরির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। অভিযোগ সেখানে যেতে তাঁকে বাধা দেয় উত্তর প্রদেশ সরকার। এই অবস্থায় রাহুল গান্ধী দীর্ঘ অপেক্ষের পর এদিন সন্ধ্যে বেলা সীতাপুর পৌঁছান। সেখানেই রবিবার রাত থেকে আটক ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। লাখিমপুরখেরি যাওয়ার পথেই তাঁকে আটক করা হয়েছিল। এদিন প্রিয়াঙ্কাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তারপরই দুই ভাইবোন লাখিমপুর খেরির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাতের দিনে তাঁরা নিহত কৃষকপরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা পালিয়াতে লাভপ্রীত সিং-এর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা সেই ছবি শেয়ার করেছেন। শুধু নিহত কৃষক পরিবার নয় রবিবারের হিংসায় রমন কাশ্যপ নামে এক সাংবাদিকেরও মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও গান্ধীরা দেখা করতে যেতে পারেন। তাঁদের সঙ্গে রয়েছে রণদীপ সুরজেওয়ালা, দীপেন্দ্র হুডা, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি ও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেরা।
অন্যদিকে এদিনই কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট ও আচার্য প্রমোদও লাখিমপুরের দিকে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু উত্তর প্রদেশ পুলিশ মুরাদাবাদের কাছে তাঁদের আটকে দেয়। দুজনকেই আটক করে পুলিশ।
রবিবার উত্তর প্রদেশের লাখিমপুর খেরি কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। কৃষকরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ডাকা অনুষ্ঠান বানচাল করে দেয়। তারপরই গাড়ি চাপা দিয়ে চার কৃষককে হত্যা করা হয়। পাল্টা কৃষকরাও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। গোটা ঘটনায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে। কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে অশিস মিশ্রর। যদিও মন্ত্রী ও তাঁর ছেলে উভয়ই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।