মৌসম ভবন বলছে গুলাবের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। ফলে এবার ধীরে ধীরে পশ্চিমের দিকে এগোচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়।
সাইক্লোন গুলাব (Cyclone Gulab) আছড়ে পড়েছে স্থলে। অন্ধপ্রদেশের সান্থাগুড়ায় আছড়ে পড়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। মৌসম ভবন (India Metrological Department) বলছে গুলাবের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া (landfall process of Cyclonic Storm 'Gulab') ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। ফলে এবার ধীরে ধীরে পশ্চিমের দিকে এগোচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। যা আগামী চার পাঁচ ঘন্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। অর্থাৎ একটি বিষয় পরিষ্কার, সেভাবে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হল না বাংলাকে।
মৌসম ভবন জানাচ্ছে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে। তবে, ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বজায় রয়েছে এখনও। পরবর্তী চার-পাঁচ ঘন্টার মধ্যে এটি প্রায় পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় গুলাব উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ এবং দক্ষিণ ওড়িশার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। পরবর্তী সময়ে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তর উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের ওপর সাইক্লোন 'গুলাব' গত ৬ঘণ্টায় ২৬ কিলোমিটার বেগে প্রায় পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়। এদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশে আছড়ে পড়ার পর বঙ্গোপসাগরে একটি নৌকা ডুবে যায়। শ্রীকাকুলামের দুই মৎস্যজীবীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। এজন নিখোঁজ হয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতার জন্য ওড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল এবং আইএমডি সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
জানা গিয়েছে রবিবার সন্ধেয় স্থলভাগে প্রবেশের পরই তাণ্ডব লীলা শুরু করেছিল গুলাব। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় জলের তোড়ে এক ব্যক্তি ভেসে যান। অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশে দুই মৎস্যজীবীর (Fisherman) মৃত্যু হয়েছে।
ওড়িশার স্পেশাল রিলিফ কমিশনার প্রদীপ জেনা জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ স্থলভাগে প্রবেশের পরই কোরাপুট ও মালকানগিরির দিকে এগিয়ে যায় গুলাব। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, প্রবল বৃষ্টি হবে মালকানগিরি, কোরাপুট, গঞ্জাব, গজপতি, রায়গড় জেলায়। সোমবার বিকেল থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে।
উপকূলবর্তী এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ তাণ্ডব দেখিয়েছিল এই ঘূর্ণিঝড়। তার প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হয়েছে এই দুই রাজ্যে। তার সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়াও। রবিবার সন্ধেয় সেই তাণ্ডবলীলা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে সোমবার ভোরেই স্বস্তির খবর দিয়েছে মৌসম ভবন। জানিয়েছে, ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে গুলাব। ঘূর্ণিঝড় থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে।