দিল্লির জামিয়া নগর এলাকার মুসলিমরা ছুটলেন আদালতে। তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য, যেভাবেই হোক নুর নগর এলাকায় একটি মন্দির ভেঙে ফেলার চেষ্টা রুখতে হবে।
তাঁরা চান না এলাকায় কোনও অশান্তি হোক, চান না বিভেদ ছড়িয়ে পড়ুক হিংসার রূপ ধরে। তাই দিল্লির জামিয়া নগর এলাকার মুসলিমরা (Muslims in Delhi Jamia Nagar) ছুটলেন আদালতে (court)। তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য, যেভাবেই হোক, বাঁচাতে হবে মন্দির (protect temple)। দিল্লির জামিয়া নগরের মুসলিম বাসিন্দারা নুর নগর এলাকায় একটি হিন্দু মন্দির ভেঙে ফেলার চেষ্টা এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন আদালতে।
দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের করা আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে যে নির্মাতারা অবৈধ উপায়ে মন্দির ভাঙার চেষ্টা করছেন এবং মন্দিরের জমিও দখল করছেন। দিল্লি হাইকোর্ট জামিয়া নগরের ২০৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির করা পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে মন্দিরে অবৈধ দখলদারির কথা। এলাকার মুসলিমদের অভিযোগ মন্দিরের ধর্মশালা তাড়াহুড়ো করে রাতারাতি ভেঙে ফেলা হয়েছে। পুরো এলাকাটি সমতল করা হয়েছে যাতে অবৈধ বিল্ডাররা এটিকে দখল করতে পারে।
আরও পড়ুন- শাঁখ কেন তিনবার বাজানো হয় জানেন, রয়েছে অদ্ভুত কারণ
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ২৪শে সেপ্টেম্বর এই মামলায় নির্দেশ দেয়, পুলিশকে ওই এলাকায় শান্তি স্থাপনের উদ্যোগ নিতে হবে। মন্দিরটিকে সুরক্ষা দিতে হবে ও পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে কোনওভাবেই এই মন্দির ও সংলগ্ন জমি বেদখল না করা হয়।
আরও পড়ুন- অন্ধকারে ঢাকবে পৃথিবী, আকাশে উঠবে অদ্ভুত সবুজ আলো,সূর্য থেকে ধেয়ে আসছে জিওম্যাগনেটিক ঝড়
হাইকোর্টের নির্দেশ পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে ওই এলাকায় কোনও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী নেই, যে বা যারা ওই মন্দিরের ক্ষতি করতে পারে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ লেআউট পরিকল্পনায় যে এলাকাটি মন্দির হিসাবে দেখানো হয়েছে তা সংরক্ষণ এবং সুরক্ষিত রাখা পুলিশের দায়িত্ব। তাই তারা নিশ্চিত করবে যে ঘটনাস্থলে আইন -শৃঙ্খলার কোনও সমস্যা নেই।
নুর নগরের ওয়ার্ড কমিটির আবেদনকারীরা আদালতে তাদের আবেদনে উল্লেখ করেছিলেন যে মন্দিরটি ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি ডিডিএ লেআউট পরিকল্পনায় চিহ্নিত রয়েছে। আবেদনকারীদের দাবি ১৯৭০ সালে মন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকে কারও বাধা ছাড়াই পূজা ও কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। পুজো এবং অন্যান্য ধর্মীয় আচরণের জন্য মন্দিরে প্রায় ৮-১০টি মূর্তি ছিল, যা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ত্রেতাযুগ থেকে আজ পর্যন্ত সীতার দেওয়া অভিশাপ বয়ে চলেছেন এই চারজন
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওই এলাকায় হিন্দু মুসলিমের মধ্যে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন দুষ্কৃতীরা, যা বেশ উদ্বেগজনক। ওই এলাকা শান্তপূর্ণ। হিন্দু মুসলিমের সহাবস্থান রয়েচে। সেখানে কোনও সমস্যা তৈরি করা কাম্য নয়। অথচ বেশ কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি এলাকায় উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে। ভেঙে ফেলা হচ্ছে মন্দির ও ধর্মশালা। মন্দিরের জমিতে ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য একটি বিল্ডিংও তৈরি করা হচ্ছে।