ভূমিধস আর বৃষ্টিতে ধ্বংসপুরী ওয়াইনাডে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে, পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার রাহুলের

মাত্র চার ঘণ্টায় পরপর তিনটি ভূমি ধসের ঘটনা ঘটেছে ওয়াইনাডে। বিধ্বস্ত গোটা এলাকায়। মোটের ওপর ধ্বংস্তূপের ছবিও ফুটে উঠেছে।

ওয়াইনাডে ভূমিধসের কারণে এখনও পর্যন্ত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে প্রচুর মানুষ। উদ্ধারকাজে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নামেছে। উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনাও।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টি হয়। তার কারণেই মাত্র চার ঘণ্টার পর তিনটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছিল। দুর্যোগের কারণে আহত ১১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে তৎপর প্রশাসন। রাজ্যের মন্ত্রীরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন। সবরকম সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ গোপীর সঙ্গে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানান হয়েছে দুর্যোগে নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপুরণ দেওয়া হবে। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

কংগ্রেস নেতা ও ওয়াইনাডের প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য তিনি দুঃখিত। যারা পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন, তাদের প্রতি তাঁর সমবেদনা রয়েছে। আটকরা দ্রুত উদ্ধার পাবে বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি ওয়াইনাডের বাসিন্দাদের সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হল মুন্ডক্কাই, চুরমালা, আত্তামালা এবং নুলপুজা। ভেঙে গেছে বহু রাস্তা। সেতুও ভেসে গেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন। আবহাওয়া খারাপ হওয়ার জন্য হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।

মঙ্গলবার ভোররাত থেকে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। বহু বাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ভূমিধসের কারণে মুন্ডাক্কাই শহর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। রাজ্যের একাধিক জলাশয়ের জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৩০-৩১ দুই দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। দুই দিন কোনও সরকারি অনুষ্ঠানও উদযাপন করা হবে না।

মৌসম ভবন মঙ্গলবারও কেরলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। ওয়ানাদ, ইদুক্কি, ত্রিশুর, পালাক্কাদ, মালাপ্পুরম, কোঝিকোড, কান্নুর এবং কাসারগড়ের মত ৮টি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০৪ মিমি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।