কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন কোভিডশিল্ড নিয়ে এমন তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই একের পর এক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী।
লোকসভা ভোটের আবহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে গ্রেফতারের দাবিতে তোলপাড় দেশ! কি এমন করলেন মোদী? এই নিয়েই চলছে বিস্তর চর্চা। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ইতিমধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে ট্রেন্ড করছে #ArrestNarendraModi। কিন্তু, ঠিক কি কারণে ঘটল এমন ঘটনা? সেটি জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই।
ওই হ্যাশট্যাগের মাধ্যমেই ব্যবহারকারীরা করোনার টিকা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, করোনার মতো ভয়াবহ মহামারীর হাত থেকে বাঁচার জন্য এই প্রাণদায়ী টিকা এলেও আপাতত ওই টিকাই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেগুলি থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটছে বলে অভিযোগ উঠছে।
কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন কোভিডশিল্ড নিয়ে এমন তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই একের পর এক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের মতে, কৃতিত্ব নিতে গিয়ে কেন দেশবাসীর প্রাণ নিয়ে খেলা করলেন তিনি? টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যাচাই না করে, কেন দেশবাসীকে বাধ্য করা হল এই টিকা নিতে? এমনই প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন বিরোধীরা।
কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন, করোনার পর হার্ট অ্যাটাক এবং ব্রেন স্ট্রোকের হাজার-লাখ ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধুবাদ জিতে নেওয়া মোদী সরকার কি এই বিষয়ে কোনও জবাব দেবে? এখানে উল্লেখ্য, ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করেছে যে, তাদের তৈরি করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে, #ArrestNarendraModi হ্যাশট্যাগের পাশাপাশি, #ThankYouNarendraModi হ্যাশট্যাগও ট্রেন্ড করছে।
জানা গিয়েছে, অ্যাস্ট্রজেনেকার তৈরি টিকা থেকে (ভারতে যার নাম কোভিশিল্ড) বিরল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর তারপরেই সমগ্র দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। পাশাপাশি, এই কারণেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন বহুজন। এমনকি বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে নেট মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলিতেও।
চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।