জিতেন্দ্র আওহাদ বলেছিলেন, রাম আমাদের, বহুজনের। রাম শিকার করে খেতেন। আপনি চান যে আমরা নিরামিষভোজী হই, কিন্তু আমরা রামকে আমাদের নিজেদের মূর্তি মনে করে মাটন খাই।
ভগবান রামকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর এনসিপি নেতা জিতেন্দ্র আওহাদ। জিতেন্দ্র আওহাদ বলেছেন, রাম আমাদের এবং তিনি বহুজন। রাম নিরামিষভোজী ছিলেন না, আমিষভোজী ছিলেন। তারা শিকার করে খেতেন। এখন তাঁর বক্তব্য নিয়ে বিজেপি ও অজিত গোষ্ঠীর নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মুম্বইয়ে আওহাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান অজিত গোষ্ঠীর NCP কর্মীরা। এ বিষয়ে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।
আসলে জিতেন্দ্র আওহাদ বলেছিলেন, রাম আমাদের, বহুজনের। রাম শিকার করে খেতেন। আপনি চান যে আমরা নিরামিষভোজী হই, কিন্তু আমরা রামকে আমাদের নিজেদের মূর্তি মনে করে মাটন খাই। এটাই রামের আদর্শ। তিনি নিরামিষভোজী ছিলেন না, আমিষভোজী ছিলেন। এর পিছনে যুক্তি দিতে গিয়ে আওহাদ বলেছিলেন যে ১৪ বছর ধরে বনে থাকা রাম নিরামিষাশী খুঁজতে কোথায় যাবেন? তাঁর দাবি, রাম আদতে ছিলেন এক জন ‘বহুজন’ (দলিত)। তাঁর কথায়, ‘‘ভগবান রাম কখনওই নিরামিষাশী ছিলেন না। বহুজন সমাজের রাজা এবং আমিষভোজী ছিলেন। সেই সঙ্গে ছিলেন এক জন দক্ষ শিকারী। সে কারণেই ১৪ বছর বনবাসে কাটাতে পেরেছিলেন।’’
শিরডিতে শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর নেতাদের ডাকা বৈঠকে এনসিপি নেতা এই বড় অভিযোগ করেছেন। জিতেন্দ্র আওহাদ বলেন, ভগবান রামকে নিরামিষ আখ্যা দিয়ে মানুষকে নিরামিষাশী হওয়ার জন্য চাপ দেওয়া ঠিক নয়। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপির তরফে দিনটিকে ‘পবিত্রতা দিবস’ হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরএসএসকে নিশানা করা হয়েছে
এনসিপি নেতা আরও বলেছিলেন যে আমরা কেবল গান্ধী এবং নেহরুর কারণেই স্বাধীনতা পেয়েছি এবং এটিও সত্য যে এত বড় স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা (গান্ধী) একজন ওবিসি ছিলেন এবং এটি আরএসএসের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না।
জিতেন্দ্র বলেছিলেন যে গান্ধীজির হত্যার আসল কারণ ছিল জাতপাত। এনসিপি-শারদ পাওয়ার গোষ্ঠীর নেতা বলেছেন যে কেউ যাই বলুক না কেন, সত্য বদলাবে না।
এরই পাশাপাশি, মহারাষ্ট্রে মাংস ও মদের উপর একদিনের নিষেধাজ্ঞার দাবির পর বাগাড়ম্বর তীব্র হয়েছে। বিজেপি বিধায়ক রাম কদম ২২ জানুয়ারি মদ এবং মাংস নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে সমগ্র রাজ্যে মদ এবং মাংসের উপর একদিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।