'লাভ ইউ পাপ্পু', শীঘ্রই আসছে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে ত্রিকোন প্রেমের সিনেমা

রাহুল গান্ধীকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে ব্যঙ্গ চলচ্চিত্র। নাম লাভ ইউ পাপ্পু। প্রযোজকের অবশ্য দাবি ছবির সঙ্গে রাহুলের যোগ নেই। কিন্তু ছবির পরতে পরতে বাস্তবের রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ফিল্মের চরিত্রের মিল রয়েছে।

 

amartya lahiri | Published : Mar 12, 2020 2:29 PM IST

সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেলে এপ্রিল মাসেই দেশের প্রায় সবকটি প্রেক্ষাগৃহে আসতে চলেছে 'লাভ ইউ পাপ্পু'। কাল্পনিক চলচ্চিত্রের ত্রিভুজ প্রেমের গল্প বলে দাবি করা হলেও ছবির মুখ্য চরিত্রটি তৈরি করা হয়েথে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর আদলে। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। হলে এলে রাজনৈতিক মহলে বিশেষ করে কংগ্রেস দলের অন্দরে এই সিনেমা তোলপাড় ফেলে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ছবিটি প্রযোজনা করছেন রাহুল গান্ধীরই একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী পঙ্কজ শঙ্কর।

চলচ্চিত্রটির নায়ক যুবরাজ নামে এক রাজনীতিবিদ। আর ছবির দুই মহিলা চরিত্রের একজন এক তরুণী টিভি সাংবাদিক এবং অপরজন এক বিবাহিত মহিলায তিনি ১২ বছর ধরে ইমেলে য়ুবরাজ-কে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছেন। আর পাপ্পু হল একটি টিভি স্ট্রিংগার, যার জন্ম যুবরাজের দেশে ও একই সময়ে।

পঙ্কজ শঙ্কর বারবার করে দাবি করেছেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁর এই চলচ্চিত্রের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁর দাবি এটি একেবারেই একটি প্রেমের গল্প, কাল্পনিক কাহিনী। সিনেমার কোনও চরিত্রের সঙ্গে বাস্তব জীবনের কোনও চরিত্রের সাদৃশ্য পাওয়াটা কাকতালীয় ঘটনা বলেই দাবি তাঁর। তবে, তাঁর সেই দাবি হালে পানি পাচ্ছে না। সকলেই একবাক্যে বলছেন, কংগ্রেসের অন্দরে নেহেরু-গান্ধী পরিবারের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসাবে 'যুবরাজ' নামে পরিচিত রাহুল গান্ধীই এই ছবির মূল চরিত্র।

বস্তুত বাস্তব জীবনের রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পর্দার যুবরাজের মধ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য মিল রয়েছে। ছবিটির শুরুতে মহাত্মা গান্ধী-কে নয়াদিল্লির তুঘলক লেনে  'অ্যাপয়েন্টমেন্ট' নিয়ে যুবরাজের সঙ্গে দেখা করতে আসতে দেখা যাবে। আশ্চর্যজনকভাবে রাহুল গান্ধীর বাসভবনের ঠিকানা ১২, তুঘলক লেন।

এরপর মহাত্মা গান্ধী-কে দেখা যাবে যুবরাজের সঙ্গে দেখা করার জন্য এক কনফারেন্স হলে যুবরাজের জন্য অপেক্ষা করতে। এক পরিচারক এসে মহাত্মাকে জানান তরুণ রাজনীতিবিদ যুবরাজ গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেছেন, তাই এখনই দেখা করতে পারবেন না। সেই কনফারেন্স হলে আবার রাহুল ও সনিয়া গান্ধীর বাস্তব জীবনের ছবি ঝুলতে দেখা যাচ্ছে। পরের শটেই আবার একজন ব্যক্তিকে দিল্লির রাস্তায় প্রচন্ড গতিতে বাইক  চালাতে দেখা যায়। আড়াই ঘন্টা পর মহাত্মা যখন চলে যেতে নিয়েছেন তখন যুবরাজের এক সহকারী এসে তাঁর ভিজিটিং কার্ড চান।

দলের সহকর্মীদের, এমনকি প্রবীণ নেতাদেরও ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করান বলে অভিযোগ রয়েছে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। আর বাইক রেসিং-এর প্রতি তাঁর ভালবাসাও সুপরিচিত।

অন্যদিকে যুবরাজকে ১২ বছর ধরে প্রেমপত্র লেখার পরে বিবাহিত মহিলার চরিত্রটি য়ুবরাজের কাছ থেকে শেষ পর্যন্ত জবাব পান। যুবরাজ, ১২ বছর ধরে যে ইমেলগুলি পাঠিয়েছেন, তার উপর ভিত্তি করে ওই মহিলাকে একটি বই লিখতে বলেন। সেই বইয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি আসবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু, সময়ে বিদেশ থেকে ফিরে আসতে না পারায় বইটি প্রকাশের দিন যুবরাজ উপস্থিত হতে পারবেন না।

রাহুল গান্ধীর বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে শুধু বিরোধীরা নয়, দলের ভিতরেও ক্ষোভ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি বিদেশে থাকেন বলে, তাঁর আন্দোলন দানা বাঁধে না, এমন অভিযোগ রয়েছে। 'লাভ ইউ পাপ্পু' ছবিতে যুবরাজ-কে মানস সরোবর ভ্রমণ করতেও দেখা যাবে। ২০১৩ সালে রাহুল গান্ধীও মানস সরোবর ভ্রমনে গিয়েছিলেন।

 

Share this article
click me!