জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় খুলল স্কুল, কিন্তু গড়হাজির পড়ুয়ারা

  • জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠল বিল সংসদে উত্থাপনের পর থেকে থমথমে ছিল উপত্যকা
  • কড়া  নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা উপত্যকা
  • সোমবার উপত্যকার রাজৌরি জেলায় খুলে গেল স্কুল
  • বেশিরভাগ স্কুলেই এদিন গড়হাজির পড়ুয়ারা 

Indrani Mukherjee | Published : Aug 19, 2019 6:12 AM IST / Updated: Aug 19 2019, 11:43 AM IST

জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠল বিল সংসদে উত্থাপনের পর থেকে থমথমে ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি। কড়া  নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা উপত্যকা। সারা দেশের মানুষের মনে উপত্যকা নিয়ে তৈরি হয়েছিল নানা আশঙ্কা। তবে গত কয়েকদিনে ধীরে ধীরে পরিবর্তীত হয়েছে উপত্যকার পরিস্থিতি খানিকটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে। 

সোমবার থেকে কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় খুলে গিয়েছে একাধিক স্কুল। তবে এদিন স্কুল খুললেও বাবা-মায়েরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পেয়েছেন। আর সেইকারণে উপত্যকার একাধিক স্কুলে শিশুদের উপস্থিতির হার ছিল খুবই কম। তবে এমনটা যে হবেই তা আগে থেকেই আশঙ্কা করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। উপত্যকার এক বাসিন্দার কথায়, গত ১৫ দিন ধরে কাশ্মীরে জারি হওয়া কার্ফু-এর সময়েও উপত্যকার রাস্তাঘাটে বেশকিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথাও প্রকাশ্যে এসেছে, তাই এখনও অভিভাবকরা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিন্ত হতে পারেননি বলেই নিজের সন্তানকে স্কুলে যেতে দেননি অনেক অভিভাবক।

 

প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তের পর কার্যত বন্দিদশায় দিন কাটাচ্ছিলেন উপত্যকার সাধরণ মানুষ। জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল প্রস্তাবের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এইভাবে ১২দিন উপত্যকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন ছিল গোটা দেশের। তবে ইতিমধ্যেই সেখানে ৫০ হাজারেরও বেশি ল্যান্ডলাইন সংযোগ চালু করা হয়েছে, চালু করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। সেইসঙ্গে বজায় রাখা হয়েছে রেশন পরিষেবাও। তবে পরিস্থিতি পুরোপুরিভাবে স্বাভাবিক হতে এখনও অনেকটা সময় লাগবে বলেই মনে করছেন অনেকে। 

Share this article
click me!