বিজেপির দীর্ঘদিনের অন্যতম লক্ষ্যের একটি পূরণ হয়েছিল গত অগাস্টেই, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের মধ্য দিয়ে। আরেকটি অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণও বাস্তব হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টের শনিবারের রায়ে। অযোধ্যার পর সুখবর এল মহারাষ্ট্র থেকেও। বিজেপি-কেই মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্য ডাক দিলেন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি।
শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। শনিবার মধ্যরাত্রে মেয়াদ ফুরোচ্ছে আগের বিধানসভার। এই অবস্থায় এদিন সন্ধ্যায় রাজ্যপাল এক সরকারি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, একক বৃহত্তম দল হিসেবে বিজেপিকেই সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিজেপির পরিষদীয় নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে সরকার গঠনের ইচ্ছা ও ক্ষমতা প্রকাশ করতে হবে।
আরও জানানো হয়, গত ২৪ অক্টোবর ফল বের হওয়ার পর থেকে ১৫ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও কোনও একক দল বা জোট সরকার গঠন করতে এগিয়ে আসেনি। তাই রাজ্যপাল নিজেই সরকার গঠনের সম্ভাবনাগুলি খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী হয়েছেন। যদি ৫৬ ঘন্টার মধ্যে তাঁর আহ্বানে সাড়া না দেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, সেইক্ষেত্রে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে শিবসেনাকে সসরকার গঠনের আহ্বান জানানো হবে। তারাও নারাজ হলে এনসিপি-কংগ্রেসকে ডাকা হবে।
এই অবস্থায় বিজেপিকে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকার গঠন করলে তারপর বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষা দিতে হবে। আস্থাভোটে জিতততে হবে। বিজেপি এককভাবে ১০৫টি আসন জিতেছে। নির্দল ও অন্যান্য ছোট দলের সমর্থন পেলেও বিরোধী আসনে শিবসেনা (৫৬), এনসিপি (৫৪) এবং কংগ্রেস (৪৪) জোট বাঁধলে বিজেপির বিরুদ্ধে অনাস্থার পক্ষে ১৫৪টি ভোট পড়বে। সেই ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা খেতে হবে বিজেপিকে। কাজেই সরকার গঠনের সম্ভাবনায় বিজেপি আনন্দিত হলেও, সেই গোলাপের কাঁটাও খোঁচা মারছে।