সোমবার (১৭ নভেম্বর), পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে এক জনসভায় হায়দরাবাদের অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদ-উল-মুসালিমিন দলকে 'সংখ্যালঘুদের মধ্যে চরমপন্থী' বলে উল্লেখ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কথা একেবারেই ভালভাবে নিল না এআইমিম। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা জবাবে দলের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বললেন, 'পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ১৮টি লোকসভা আসন জিততে দেওয়াটাই চরমপন্থা'।
কোচবিহারের সভায় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এআইমিম-এর নাম নেননি। তিনি বলেছিলেন, সংখ্যালঘুদের মধ্যে কয়েকজন চরমপন্থী আছেন। তাদের ঘাঁটি হায়দরাবাদে। তাদের কথা নো শোনার এবং তাদের বিশ্বাস না করার পরামর্শ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
একদিন সময় নিয়ে ওয়াইসি বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, তাঁদের লড়াই ন্য়ায় বিচারের জন্য। এটা যদি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চরমপন্থা বলে মনে হয়, তাহলে চরমপন্থা হল পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ১৮টি লোকসভা আসন জিততে দেওয়া। তাঁকে হেনস্থা করে মমতা আসলে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদেরই অপমান করছেন বলে অভিযোগ করেন ওয়াইসি। এটাও তাঁর মতে চরমপন্থা।
এখানেই থামেননি তিনি। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির জমি পাওয়ার পিছনে অনেকটাই কাজ করেছে মমতার 'মুসলিম তোষণ'-এর প্রচার। এদিন ওয়াইসি-ও ঠিক এই অভিযোগই করেছেন মমতার বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, মুসলিম তোষণ বন্ধ করে মমতা উচিত তাদের ক্ষমতায়নের দিকে নজর দেওয়া।
হায়দরাবাদই অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদ-উল-মুসালিমিন দলের প্রধান ঘাঁটি। তেলেঙ্গানায় তাদের ভালোই প্রভাব রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এআইমিম অন্যান্য রাজ্যে নিজেদের ছড়াতে চাইছে। সম্প্রতি তারা বিহারে কিষাণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ও মহারাষ্ট্রে আরও দুটি বিধানসভা আসনে জয়ী হয়েছে। এবার পশ্চিমবঙ্গেও খাতা খুলতে চাইছে তারা।