নজরে মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচন, মঙ্গলবার তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে শিলং-এর ভাষণ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মঙ্গলবার মেঘালয়া সফরে যাবেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় কর্মীজের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন তিনি। আগামী বছর মেঘালয়া বিধানসভা নির্বাচন।

 

Web Desk - ANB | Published : Dec 11, 2022 9:44 AM IST / Updated: Dec 11 2022, 03:25 PM IST

আগামী বছরের শুরুতেই উত্তর-পূর্বে কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আগে থেকেই তারই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরার পাশাপাশি মেঘালয়া - এই দুটি রাজ্যে নজর রয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কীভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তারই রোডম্যাপ তৈরির উদ্দেশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী মঙ্গলবার মেঘালয়াতে দলীয় কর্মীদের উপস্থিতিতে একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন।

তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ১২ ডিসেম্বর অর্থাৎ সোমবার মেঘালয়া যাবেন। তিনি রাতে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করবেন। ১৩ ডিসেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেলে শিলং-স্টেট সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে সভা করবেন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মেঘালয়ার তৃণমূলের ইনচার্জ মানস রঞ্জন ভুইয়া। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি চার্লস পেনগ্রোপ ও রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূলের নেতা মুকুল সংমা।

স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের কথায় আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উপস্থিতি রাজ্যের দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করবে। এতে মনোবল বাড়বে। পাশাপাশি রাজ্যের সাধারণ মানুষও আকৃষ্ট হবে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। তিনি আরও জানিয়েছেন ২০২৩ সালে মেঘালয়া বিধানসভা নির্বাচন। ৪ মার্চের আগেই বিধানসভা নির্বাচন করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তৃণমূল সূত্রের দাবি করা হয়েছে মেঘালয়ার মানুষ রাজ্যে ন্যাশানাল পিপিলস পার্টি বা এনপিপি-র নেতৃত্বাধীন সরকারকে নিয়ে একদমই খুশি নয়। গত পাঁচ বছরে রাজ্যে কোনও রকম উন্নয়ন হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূল নেতা রাজ্য পরিচালনায় এনপিপি-র যে কতটা অযোগ্য তাও বলেন। তিনি বলেন, রাজ্যের মানুষ কী চাইছে, কীভাবে আছে আর কোনও তথ্য নেই সরকারের কাছে। তৃণমূল সূত্রের খবর তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। যদিও এর আগে দুইবার অভিষেক মেঘালয়া সফর করেছেন।

গত বছর থেকেই মেঘালয়ার রাজনীতিতে রীতিমত সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস কংগ্রেস। কারণ গত বছরই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ১২জন বিধায়ক। তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তে বিধানসভা কংগ্রেসের পরিবর্তে ঘাসফুলের নামেই উঠে আসে বিধানসভার বিরোধী দল হিসেবে। পাশাপাশি তৃণমূল ১১ মে থেকে রাজ্যে বিরোধী শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা মুকুল সংমা।

 

 

Share this article
click me!