মুখ ঢেকে ঘুরিয়ে দিল সিসিটিভি ক্যামেরা, এরা কি প্রতিবাদী না দুষ্কৃতী

গত সপ্তাহে নাগরিক আইন বিরোধী আন্দোলন ঘিরে উত্তাল হয়েছিল মেঙ্গালুরু। এই হিংসা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। সিসিটিভিতে ফুটেজে এর স্পষ্ট প্রমাণ  মিলেছে। তথাকথিত আন্দোলনকারীরা সিসিটিভি ক্যামেরার মুখ ঘুরিয়ে দিয়েছিল।

 

Asianet News Bangla | Published : Dec 24, 2019 10:10 AM IST / Updated: Dec 24 2019, 06:39 PM IST

 গত সপ্তাহে নাগরিক আইন বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরু শহর। ১৪৪ ধারা জারি করতে হয় সরকারকে। কিন্তু এই হিংসাত্মক আন্দোলন একেবারেই পূর্বপরিকল্পিত ছিল। সিসিটিভিতে ফুটেজে এই বিষয়টা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ফুটেজে দেখা গিয়েছে হিংসাত্মক আচরণের আগে তথাকথিত আন্দোলনকারীরা তাদের মুখ ঢেকে নিয়েছিল, এবং সিসিটিভি ক্যামেরার মুখগুলিও ঘুরিয়ে দিয়েছিল।

এর আগে, ঘটনার দিন হিংসা রুখতে এক হাসপাতালে পুলিশকে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছিল। যা নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল মেঙ্গালুরু পুলিশকে।  তবে, নতুন তথ্যে জানা গিয়েছে গ্রেফতারি এড়াতে আন্দোলনকারীর বেশে থাকা দুষ্কৃতীরাই হাসপাতালে গা ঢাকা দিয়েছিল। তাদের ধরতেই হাসপাতালে ঢুকেছিল পুলিশ।

আরও দেখুন - স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ না কি ষড়যন্ত্র, সিসিটিভি ফুটেজ তুলে দিল বড় প্রশ্ন, দেখুন

ঘটনার যে সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে, দুর্বৃত্তরা এসেছিল রুমাল বা কাপড়ে মুখ ঢাকা দিয়ে। সেই সঙ্গে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার ঠিক আগ মুহূর্তেই বাঁশ দিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, যাতে তাদের কার্যকলাপ ক্যামেরায় ধরা না পড়ে। তবে তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরায় তাদের জঘন্য কাজকর্ম ঠিকই ধরা পড়েছে। ভিডিওতে একই সঙ্গে হিংসা দমন করতে মেঙ্গালুরু পুলিশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে। অন্যথায় প্রচুর রক্তপাত হতে পারত।

এই নতুন ফুটেজগুলি প্রসঙ্গে বিজেপির কর্নাটকের মুখপাত্র টম ভাদ্দাকান বলেছেন, তাঁদের প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল মেঙ্গালুরুর হিংসার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। সিসিটিভি ক্যামেরা ঘুরিয়ে দেওয়া বা হিংসাত্মক আন্দোলনের পিছনে দৃষ্কৃতীদের বিশেষ স্বার্থ ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। অপপ্রচারের লক্ষ্যেই প্রকাশ্যে ওই ঘটনা ঘটানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন টম। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন ক্যামেরাকে কীসের ভয় প্রতিবাদীদের? তাদের জঘন্য অভিপ্রায় এই ফুটেজগুলি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ফাঁস হয়ে গিয়েছে।

Share this article
click me!