আগেই হাতছাড়া হয়েছিল রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র। সোমবার ঝাড়খণ্ডেও বিজেপি সরকারের পতন ঘটেছে। মাস খানেক আগেই জোট ভেঙেছিল শিবসেনার সঙ্গে। ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ধাক্কা খাওয়ার পর শিবসেনা কী প্রতিক্রিয়া দিল?
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রের পর সোমবার ঝাড়খণ্ড রাজ্যও হাতছাড়া হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র। ঝাড়খণ্ডবাসী স্পষ্টভাবে জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডি-র মহাজোটের হাতে ক্ষমতার চাবি হস্তান্তর করেছে। এই সুযোগে ফের একবার বিজেপির সদ্য প্রাক্তন সহযোগী দল শিবসেনা তাদের মুখপত্র 'সামানা'য় বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করল।
সামানা-র সম্পাদকীয়তে মঙ্গলবারর বলা হয়েছে, বিজেপি কংগ্রেস-মুক্ত ভারতের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু তা বুমেরাং হয়ে এখন একের পর এক রাজ্য বিজেপি-মুক্ত হতে শুরু করেছে। শুধু দল নয়, সরাসরি নিশানা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় অমিত শাহ-কেও। বলা হয়েছে, এই রাজ্যে বিজেপির এই দুই শীর্ষনেতা সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ও বিজেপির অনেক তাবড় সর্বভারতীয় নেতাও প্রচারপর্বে মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু তারপরেও বিজেপি জিততে পারেনি।
শিবসেনার মতে, এর কারণ হল আমজনতাকে হালকাভাবে নেওয়া। তাদের মতে বিজেপি পর পর জিততে জিততে বেবেছে, তারা যা খুশি করতে পারে। যে মানুষের ভোটে নির্বাচনে জয় পেয়েছে, সেইসব মানুষদের কথাই তারা অগ্রাঢ্য করছে। ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। বিজেপি যদি এরপরও সাধারণ মানুষকে পাত্তা না দেয়, তাদের মতামতকে গুরুত্ব না দেয়, তাহলে আরও রাজ্যে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনে এবার বিজেপি-কে পিছনে ফেলে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা একক বৃহত্তম দল হয়েছে। কংগ্রেস, আরজেডি - মহাজোটের দুই শরিকই জানিয়েছে তারা জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেন-এর নেতৃত্বেই নির্বাচনে লড়েছেন। কাজেই তিনিই রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এই বিষয়ে তাঁদের সমঝোতা রয়েছে।
সামানা-র সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস, এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল স্পষ্টভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তারাই রাজ্যের পরবর্তী সরকার গঠন করবে। এটা বিজেপির পক্ষে বড় ধাক্কা। বিজেপি নেতারা কংগ্রেস মুক্ত ভারত গঠনের ডাক দিয়েছিলেন। তবে এখন অনেক রাজ্যই বিজেপি-মুক্ত হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের মতো বড় রাজ্যেও পরাজিত হয়েছে বিজেপি। যা নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে বিপদ সংকেত।