কুকি পিপলস অ্যালায়েন্সের মাত্র দুই জন বিধায়ক রয়েছে মণিপুর বিধানসভায়। তাই এখনই সরকার পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এন বীরেন সিংএর ওপর যে চাপ বাড়ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ক্রমশই চাপ বাড়ছে মণিপুরের এন বীরেন সিং সরকারের ওপর। ঘরে বাইরে দুই জায়গা থেকেই চাপ বাড়ছে। এমনিতেই মণিপুরের হিংসা নিয়ে বীরেন সিংকে কোনঠাসা করতে আগে থেকেই আসরে ছিল বিরোধীরা। এবার মুখ্যমন্ত্রীর ওপর চাপ বাড়াচ্ছে জোট শরিকরাও। কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স চিঠি দিয়ে তাদের সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে।
যদিও কুকি পিপলস অ্যালায়েন্সের মাত্র দুই জন বিধায়ক রয়েছে মণিপুর বিধানসভায়। তাই এখনই সরকার পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এন বীরেন সিংএর ওপর যে চাপ বাড়ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স গভর্নর অনুসুইয়া ইউকে ইমেবল করে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে দিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বর্তমান হিংসার কথা বিবেচনা করে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংএর নেতৃত্বাধীন মণিপুরের বর্তমানের সরকারের প্রতি সমর্থন বজায় রাখা আর সম্ভব নয়। সেই কারণে মণিপুরের বর্তমান সরকারের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে কুকি পিপিলস অ্যালায়েন্স। পরবর্তীকালে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারও করা হতে পারে দলের পক্ষ থেকে।
৬০ সদস্যের মণিপুর বিধানসভায় কুকি পিপলসএর দুই জন বিধায়ক রয়েছে। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৩২, নাগা পিপলস ফ্রান্টের বিধায়ক সংখ্যা ৫, ন্যাশানাল পিপলস পার্টির ৭, জেডিইউ থেকে ৬ জন বিধায়ক রয়েছে। দুই বিধায়ক নির্দল।
শনিবার নতুন করে হিংসার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। মাত্র এক দিনেই ৬ জনের মৃত্যু হয়। বিষ্ণুপুর-চুরাচাঁদপুর সীমানাবর্তী এলাকায় দিনভর মর্টার আর গ্রেনেড হামলা হয়। দফায় দফায় গোলাগুলি চলে। এই পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় সরকার আরও ৯০০ কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়েছে ইম্ফলে। সবমিলিয়ে মণিপুরে ৪০ হাজার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
গত ৩ মে থেকে হিংসায় উত্তপ্ত মণিপুর। এখনও পর্যন্ত হিংসা অব্যাহত রয়েছে। কুকি ও মেইতিদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে এখনও পর্যন্ত ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষই ভিটে মাটি হারিয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু সেই শরণার্থী শিবিরের অবস্থাও বিপজ্জনক। পর্যাপ্ত খাবার জল আর শৌচালয়ের ব্যবস্থা করতে পারেনি সরকার। তেমনই অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। সম্প্রতি বিরোধী সাংসদরা মণিপুর সফর করেছে। তারা সংসদে এই বিষয়টিও উত্থাপন করেছে। বিরোধীদের তরফে মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতি চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মোদীকে দ্রুত মণিপুর সফরের আহ্বানও জানান হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ হিংসা বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এখনও করেননি।