বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মুহুর্তে শেষ ১২টা তাজা প্রাণ। এর মধ্যে এক শিশু রয়েছে বলে খবর।
ভয়াবহ দুর্ঘটনা রাজস্থানে। বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে (bus-truck collision) মুহুর্তে শেষ ১২টা তাজা প্রাণ। এর মধ্যে এক শিশু রয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। রাজস্থানের বারমেরের (Rajasthan Barmer) জেলায় যোধপুর জাতীয় সড়কের ওপর (Barmer-Jodhpur National Highway) ভান্ডিওয়াস গ্রামের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এতটাই গভীর যে, প্রায় ২৪ জন অগ্নিদ্বগ্ধ হন। তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ধাক্কা এতটাই জোরদার ছিল যে সঙ্গে সঙ্গে বাসটিতে আগুন লেগে যায়। কিছু লোক বাসেই বসে আগুনে জ্বলে গিয়েছেন বলে জানা যায়। বাসে আগুন লাগতে দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন ৷ তাঁরা জ্বলন্ত বাস থেকে জখম এবং বাকিদের দ্রুত উদ্ধার করেন ৷ তারপর নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে আহতদের বালোতরা হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ প্রথমে স্থানীয়রাই বাসের আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন ৷ তবে খবর পাওয়া মাত্র বালোতরা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ৷
বারমের এসপি দীপক ভার্গব জানান, "ফরেন্সিক এবং উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। তাই, কতজন মৃত্যু হয়েছে তা আমরা নিশ্চিত করতে পারছি না। তবে ট্রাক থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং তিনজনকে বাসে দেখা গেছে। হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সুতরাং, পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্য বাইশ জনকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে,"। তবে এই বিবৃতির পরেও বেশ কিছু তথ্যে জানা গিয়েছে যে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এবং মৃতদের আত্মীয়দের জন্য প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল (PMNRF) থেকে প্রত্যেককে ২লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন এবং বলেন যে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও বারমের জেলা কালেক্টরের সাথে কথা বলেছেন এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বলেছেন।
একটি টুইটে গেহলট জানান, বারমেরে একটি ট্রাক এবং বাসের মধ্যে দুর্ঘটনার বিষয়ে ত্রাণ ও উদ্ধার ব্যবস্থার জন্য বারমের জেলা কালেক্টরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে।