
Maoist Encounter News: ফের বড় সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর। আবারও খতম এক মাওবাদী নেতা। বিজাপুর জঙ্গলে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে মাওবাদী দমন অভিযান। আর সেই অভিযানেই এবার ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী।
সেখানে গুলির লড়াই তথা এনকাউন্টারে খতম হল মাওবাদীদের অন্যতম শীর্ষ নেতা সোধি কান্নার। সে আবার নাকি মাও সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার এবং স্নাইপার বিশেষজ্ঞ ছিলেন! ভাবা যায়?
ছত্তিশগড় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিজাপুরের জঙ্গলে গুলির লড়াইতে মৃত্যু হয়েছিল এই দেশবিরোধী কান্নারের। যদিও প্রাথমিকভাবে মৃত সেই মাও নেতার পরিচয় জানা যায়নি। কিন্তু সোমবার, তাঁর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা হয়েছে পুলিশের তরফে।
সিআরপিএফ এবং ছত্তিশগড় পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়েই বিজাপুরের জাতীয় উদ্যানে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। কারণ, নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে আগে থেকেই খবর ছিল, ঐ জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে মাওবাদীদের তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটি, জাতীয় উদ্যান কমিটি এবং পিএলজিএ-র একটি ব্যাটেলিয়নের নেতারা। সেই অভিযানে গুলির লড়াই শেষে, সোধির দেহ উদ্ধার করা হয়।
সোমবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত এই সোধি মাওবাদীদের সশস্ত্র শাখা ‘পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি তথা পিএলজিএ-র একটি ব্যাটালিয়নের ডেপুটি কমান্ডার ছিল। সেইসঙ্গে, তিনি স্নাইপার বিশেষজ্ঞও ছিলেন। জঙ্গলে লম্বা গাছের মাথায় বসে, আড়াল থেকে শত্রুদের উপর অতর্কিতে আক্রমণ চালাত সে। কিন্তু মাওবাদীরাই তো আদতে দেশের শত্রু। গ্রামের উন্নয়নকে বন্ধ করে রাখার চেষ্টা করত তারা। আর গ্রামবাসীরা তাদের বিরুদ্ধে গেলেই তখন সেই গ্রামবাসীদেরই ঢাল বানিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর উপর আক্রমণ চালাত তারা।
কিন্তু সেইসব আর চলবে না। এবার তাই নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে সোজা খতম। তেলেঙ্গানায় একাধিক মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। আর তাঁর মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা। এদিকে ফের এক শীর্ষ নেতার মৃত্যুর জেরে দেওয়ালে যেন আরও পিঠ ঠেকে গেল মাওবাদীদের।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।