
মামার বাড়ির সম্পত্তিতে ভাগ্নে-ভাগ্নি বা মায়ের বাবার সম্পত্তিতে নাতি নাতনির কোনও অধিকার থাকবে না। এমনই জানিয়ে দিল আদালত।
সদ্য বিশ্বম্ভর বনাম সৌ সুনন্দা মামলায় রায় দিয়েছে মুম্বই হাইকোর্ট। সেই রায় বলা হয়েছে যে, নাতনি তার মায়ের বাবার (দাদু) পৈতৃক সম্পত্তিতে ভাগের দাবি করেছিলেন, তিনি কেবল মায়ের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারী হিসেবে সেই সম্পত্তি পেতে পারেন। জন্মগত অধিকার হিসেবে নয়।
হিন্দুর উত্তরাধিকার (সংশোধনী) আইন, ২০০৫-র পরিধি স্পষ্ট করেছে, যে আইনটি কন্যাসন্তানদের পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান অধিকার দিয়েছিল। ভারতে পৈতৃক সম্পত্তি কেবল ধনসম্পদের চেয়ে বেশি কিছু। এটি পরিবারের শিকড়, সম্পর্ক এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসা এক উত্তরাধিকার। তবুও যখন উত্তরাধিকারের প্রশ্ন ওঠে, তখন দেখা দেয় জটিলতা। মুম্বই হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায় এই উত্তরাধিকারের সীমানার ওপর আলো ফেলেছে। এটি স্পষ্ট করেছে, একজন কন্যার সন্তানরা তাদের মায়ের বাবার পৈতৃক সম্পত্তিতে কোনও অংশ দাবি করতে পারেন না। ২০০৫ সালের যুগান্তকারী হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে তা স্পষ্ট করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বম্ভর বনাম সৌ সুনন্দা মামলায় নাতনি তার মায়ের বাবার পৈতৃক সম্পত্তি বিভাজন এবং তাতে অংশ দাবি করেছিলেন। দাদু মারা গিয়েছিলেন। রেখে গিয়েছিলেন চার পুত্র ও চার কন্যা। এই কন্যাদের মধ্যে একজন ছিলেন বাদীর মা। যিনি তখন জীবিত ছিলেন। মামলার সময় একটি মূল প্রশ্ন দাঁড়ায় যে, মায়ের দিকের নাতনি তার দাদুর যৌথ পারিবারিক সম্পত্তির বিভাজন চাইতে পারে কিনা।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, নাতনি সম্পত্তির বিভাজনের জন্য মামলা করতে পারে না। আদালত পর্যবেক্ষণ করে যে, ২০০৫ সালের আইন অনুসারে পুত্র ও কন্যাদের সমান অধিকার থাকলেও কন্যার সন্তানদের এই আইন দ্বারা কোনও অধিকার দেওয়া হয়নি। যেহেতু নাতনি তার মায়ের বাবার পুরুষ বংশের সরাসরি বংশধর নন, তাই যৌথ পারিবারিক সম্পত্তিতে তার কোনও জন্মগত অধিকার নেই।