কেরলে হাতির মৃত্যু 'পরিকল্পিত খুন' বললেন রতন টাটা, হিংসাত্মক জেলা মালপ্পুরম বলেন মানেকা গান্ধী

কেরলের গর্ভবতী হাতিকে হত্যার তীব্র নিন্দা রতন টাটার
অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে সরব শিল্পপতি
কেরল সরকারকে তুলোধনা মানেকা গান্ধীর
অভিযোগ বন্যপ্রানী রক্ষায় উদাসীন বিয়জন সরকার
 

Asianet News Bangla | Published : Jun 4, 2020 5:38 AM IST

কেরলের গর্ভবতী হাতিকে  নৃশংসভাবে হত্যা প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন শিল্পপতি রতন টাটাও। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। বলেন সুপরিকল্পতভাবে হত্যা হয়েছে একটি নিরীহ হাতিকে। তাঁর কথায় এটি 'মেডিটেটেড মার্ডার'। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতেও সরব হয়েছে রতন টাটার মত বর্ষীয়ান শিল্পপতি। 

বাজি ভর্তি আনারস খাইয়ে গর্ভবতী হাতিকে হত্যা, নৃশংসতার চরম নিদর্শন কেরলে .

সোমবারই সামনে এসেছিল কেরলের মালপ্পুরম জঙ্গলে একটি গর্ভবতী হাতির মৃত্যু হয়েছে। সেই হাতিকে আনারস খেতে দিয়েছিলেন স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা। আর সেই আনারসের মধ্যে ভর্তি ছিল বাজি আর বারুদ। বাজি ভর্তি আনারস খেতেই সেটি হাতির মুখের ভিতর ফেটে যায়। মুখ আর শুঁড়ে গুরুতর আঘাত পায়। তারপর থেকে সেই যন্ত্রণা নিয়ে হাতিটি গ্রামেই ছুটে বেড়ায়। প্রবল খউদার জ্বালা আরা যন্ত্রনা সহ্য করেই আশ্রয় নিয়েছিল নদীতে। সেখানেই মৃত্যু হয় গর্ভবতী হাতিটির। 

পাক জঙ্গি 'ফৌজিভাই'কে শেষ করল ভারতীয় জওয়ানরা, নাইকুর পর আবারও সাফল্য এল ...

এই ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পশু প্রেমীরা। সেই হাতির নির্মম হত্যা নিয়েই মুখ খুলেছেন শিল্পপতি রতন টাটা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেন, গর্ভবতী হাতির মৃত্যুর কারণ জানতে পেয়ে খুবই দুঃখ পেয়েছেন। একদল মানুষ কী করে বাজি ভর্তি আনারস একটি নিরীহ হাতিকে খাওয়াতে পারে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। 

আমফানের সঙ্গে কতটা তাল মেলাল নিসর্গ. দেখে নিন ঝড় বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্রের ছবি ...

তিনি আরও বলেন কোনও মানুষকে পরিকল্পিতভাবে খুনের থেকে নিরীহ পশুকে এইভাবে হত্যা কোনও অংশে কম অপরাধমূলক নয়। অভিযুক্তদের বিচার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। 


অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ ও পশু প্রেমী হিসেবে পরিচিত মানেকা গান্ধীও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। পাশাপাশি তুলোধনা করেন কেরল সরকারের। তিনি বলেন এই জাতীয় ঘটনার জন্য বিখ্যাত মলপ্পুরম জেলা। এটি দেশের সবথেকে হিংসাত্মক জেলা বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় বিষ ছড়িয়ে দেয়। যার জেরে একসঙ্গে ৩০০-৪০০ পাখির মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয় প্রচুর কুকুরেরও। বন্যপ্রানী হত্যা রুখতে করেল সরকার উদাসীন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এখানে তিন দিন অন্তর একটি করে হাতির মৃত্যু হয়। 

গতকালই কেরল সরকার ঘটনার তদন্ত হবে বলে ঘোষণা করেছিল। পাশাপাশি জানিয়েছিল, নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। 
 

Share this article
click me!