ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কর্ণাটকে রেললাইনে পাথর ফেলতে দেখা যাচ্ছে এক নাবালককে। টুইটারে বলা হচ্ছে যে শিশুটিকে কিছু লোক রেলপথে পাথর ফেলার জন্য ব্যবহার করেছিল।
ওড়িশার বালাসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কয়েকদিন পর, কর্ণাটকের রেলপথে একটি শিশুর পাথর ছোড়ার ভিডিও টুইটারে ভাইরাল হচ্ছে। ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনায় সরকারি হিসেবে ২৭৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১১০০ জনেরও বেশি মানুষ।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কর্ণাটকে রেললাইনে পাথর ফেলতে দেখা যাচ্ছে এক নাবালককে। টুইটারে বলা হচ্ছে যে শিশুটিকে কিছু লোক রেলপথে পাথর ফেলার জন্য ব্যবহার করেছিল। তবে দুই ব্যক্তি শিশুটিকে ধরে ফেলে এবং পরে তাকে ধরে পাথরগুলি সরিয়ে দেয়।
টুইটার ব্যবহারকারী অরুণ পুডুর শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি শিশু রেলওয়ে ট্র্যাকে বেশ কয়েকটি বড় পাথর রাখছে। অভিযুক্ত শিশুটি কারও নির্দেশে ট্র্যাকে পাথর রাখছিল। দুইজন শিশুটিকে জড়িয়ে ধরলে সে কাঁদতে থাকে। তারা শিশুটিকে ট্র্যাকের উপর রাখা পাথরটি সরিয়ে দেয়। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে শিশুটি উভয়ের সামনেই অনুনয় বিনয় করছে এবং বলছে যে সে এই প্রথম এই কাজ করেছে।
রেললাইনে এক শিশুর পাথর ছোড়ার ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হচ্ছে। নেটিজেনরা এটাকে ষড়যন্ত্র হিসেবেই ব্যাখ্যা করছেন। অনেক ব্যবহারকারী এর তদন্ত দাবি করছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, এই ঘটনা রীতিমত চিন্তার। আরেকটি ট্রেন দুর্ঘটনা এড়ানো গেল। দেশে হাজার হাজার কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। সেই রেলপথে নাশকতা ঘটাতে স্থানীয় শিশুদের ব্যবহার করা হতে পারে, এই তত্ব এবার সামনে আসছে। এটি একটি গুরুতর সমস্যা। এ বিষয়ে দায়িত্বশীলদের নজর দেওয়া উচিত। ব্যবহারকারী এই টুইটটি ট্যাগ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও রেল পরিষেবা মন্ত্রককে।
ওড়িশার বালাসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার মাত্র তিন দিন পর সোমবার টুইটারে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে। বালাসোর দুর্ঘটনা গোটা দেশকে নাড়া দিয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বালাসোর জেলার বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করোমন্ডল এক্সপ্রেস এবং একটি পণ্য ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ইতিমধ্যে, বালাসোরে তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে তাদের নিকটাত্মীয়দের সন্ধান করতে সহায়তা করার জন্য, ওড়িশা সরকারের সহযোগিতায় রেলওয়ে নিহতদের ছবি এবং বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি যাত্রীদের তালিকা সহ তিনটি অনলাইন লিঙ্ক তৈরি করেছে। এদিকে, ওড়িশার বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস-মালগাড়ি তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ল। সরকারি হিসেবে মৃত্যু হয়েছে। ২৭৮ জনের। কারণ আহতদের মধ্যে তিন জন মঙ্গলবার মারা গেছে। তবে এখনও পর্যন্ত ১০১ জনের মৃতদের সনাক্ত করা যায়নি। মৃতদেহগুলি পড়ে রয়েছে ওড়িশার মর্গে। এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছে ট্রেনে কাটাপড়া বা ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া দেহগুলি বেশি দিন সংরক্ষণ করা যাবে না। তাই দেহগুলি যাতে দ্রুত সনাক্তকরণের ব্যবস্থা করা হয় তারও আর্জি জানিয়েছেন।