নিজের ১০ বছরের নাবালিকাকে পুরুষ বন্ধু দিয়ে যৌন নির্যাতন করানোর অভিযোগ! এমনকী রেহাই পেত না ১৩ বছরের নাবালক ছেলেও।
নিজের ১০ বছরের নাবালিকাকে পুরুষ বন্ধু দিয়ে যৌন নির্যাতন করানোর অভিযোগ! ১০ বছরের কন্যা সন্তানকে নিজের বন্ধুকে দিয়ে ধর্ষণ করাতেন মা। এমনকী রেহাই পেত না ১৩ বছরের নাবালক ছেলেও। তাকেও হতে হত যৌন নির্যাতনের স্বীকার। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। বহুদিন ধরে অত্যচার সহ্য করতে না পারে অবশেষে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় নাবালিকা। পরে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার পর ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ের অত্যচার সহ্য করতে না পেরে গত ২০ জানুয়ারি গাজিয়াবাদের বাড়ি থেকে পালায় ১০ বছর বয়সী ওই নাবালিকা। দিল্লির রাস্তায় তাকে ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের পরে পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে শিশু সুরক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো হয় নাবালিকাকে। মেডিক্যাল টেস্টে জানা যায়, মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে দোষীদের ধরতে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন দিল্লি পুলিশ।
তদন্তকারীদের কাছে মেয়েটি জানায় যে চার বছর আগে নাবালিকার বাবা মারা গিয়েছে। তারপর থেকে দাদু দিদার সঙ্গেই বসবাস করত দুই ভাই-বোন। গত বছর দাদুর বাড়ি থেকে তাদের নিয়ে গাজিয়াবাদে চলে আসে মা। সেখানে আসার পর থেকেই মায়ের বন্ধুর দ্বারা লাগাতার ধর্ষনের শিকার হয় সে। এমনকী ছাড় পেত না তার দাদাও। তাকেও সহ্য করতে হ যৌন হেনস্তা। নাবালিকা জানায়, ১৩ বছরের ওই নাবালকও বাড়ি থেকে পালিয়েছে। বাবার মৃত্যুর পর তার মা যৌন পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ওই নাবালিকা। এবং বড় হলে তাকেও ওই পেশায় ঢুকিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে মায়ের।
মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে মেয়েটির মা ও তাঁর বন্ধুকে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রাজু। মেয়েটি এই বিষয় মুখ খুললে তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী ২০ জানুয়ারি মেয়েটি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার নামে কোনও নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়নি।