কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা এদিন টুইট করে বলেন কর্ণাটকের যে পরিবারগুলি আপনার সরকারের সংবেদনশীলতার কারণে তাদের সন্তান হারিয়েছে তাদের আপনি কী বলবেন?
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে মাত্র ২৫ কিমি দূরে দাঁড়িয়ে রুশ সেনারা। ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের শেষ জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, 'ভারতীয়দের জন্য এই নির্দেশিকা। সমস্ত পড়ুয়াসহ ভারতীয় (Indian Students) যারা এখনও ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রয়েছে তারা যেন আজকের মধ্যে দ্রুত কিয়েভ ছেড়ে চলে যায়।' ট্রেন বা অন্য যে কোনও উপায়ে দ্রুত কিয়েভ ছাড়ার পরামর্শও দেওয়া হয় ভারতীয় নাগরিকদের। ইউক্রেনে অবস্থিত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের অফিস (Embassy of India in Ukraine) থেকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে এই বার্তা দেওয়া হয়।
এরই সঙ্গে মিলেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আশ্বাস। মোদী বলেছিলেন রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কটে ত্রাণ সরবরাহের প্রথম চালান পাঠানো হবে। ইউক্রেনে আটকে যাওয়া সকল ভারতীয় নিরাপদ ও সুরক্ষিত রয়েছে। দেশের সীমান্তে ইউক্রেনে ত্রাণ সরবরাহের প্রথম চালান মঙ্গলবার পাঠানো হবে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। রাশিয়া ইউক্রেনের সংঘাতে এই প্রথম প্রাণ গেল কোনও ভারতীয়ের। খারকিভে (kharkiv) উপস্থিত এক ভারতীয় ছাত্রের (Indian student) মিসাইলের আঘাতে (Missile Strike) মৃত্যু হয় বলে খবর মেলে।
এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে মোদী সরকারের (Modi Govt) বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধী কংগ্রেস (Opposition Congress)। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা এদিন টুইট করে বলেন কর্ণাটকের যে পরিবারগুলি আপনার সরকারের সংবেদনশীলতার কারণে তাদের সন্তান হারিয়েছে তাদের আপনি কী বলবেন? #UkraineRussiaWor এর মধ্যে প্রতি মুহুর্তে কুড়ি হাজার ভারতীয়ের জীবন ঝুঁকির মধ্যে। আর আপনি এই সব করতে ব্যস্ত? হাজার হাজার শিশুকে নিরাপদে আনার দায়িত্ব কার?
এদিন মুখ খুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। তিনি টুইট করে লেখেন ভারতীয় ছাত্র নবীনের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। নবীনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। এখন প্রত্যেকটা মুহুর্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয়দের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে সরিয়ে আনার ক্ষেত্রে মোদী সরকারের কোনও স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান কি আদৌও রয়েছে। সরকারকে আরও সতর্ক হতে হবে।
এদিকে, ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর ওই ছাত্রের নাম নবীন শেখরাপ্পা। তাঁর পাসপোর্ট নম্বর-S5613143, হাভেরি, কর্ণাটক। তাঁর ইউক্রেনে ঠিকানা ছিল Arkitectora bekatova। তিনি খারকিভ জাতীয় মেডিকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিবিএস পড়ছিলেন। ২২ বছর বয়েসী নবীনের সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক বন্ধু। তিনিও স্টুডেন্ট কন্ট্রাক্টটর ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা কিছু জিনিস কিনতে দোকানে গিয়েছিলেন। তখনই রাশিয়ান সেনা মিসাইল হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নবীন ও তাঁর বন্ধুর।