বাজেট অধিবেশন ২০২১-এ (Budget Session 2021) লোকসভায় কংগ্রেসকে (Congress) তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) প্রসঙ্গে তুলে আনলেন জওহলাল নেহরুর (Jawaharlal Nehru) বক্তৃতার প্রসঙ্গ।
৫০ বছর পর ভারতের অরণ্যে ফিরছে চিতা (Cheetahs)। এর জন্য আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa), নামিবিয়া (Namibia) ও অন্যান্য আফ্রিকান দেশ থেকে মোট ১২ থেকে ১৪টি চিতা আনা হবে। এই বিষয়ে আফ্রিকান দেশগুলির সঙ্গে পরামর্শ বৈঠক করছে। অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী, এই চিতাগুলিকে স্যাটেলাইট জিএসএম-জিপিএস-ভিএইচএফ রেডিও-কলার পরিয়ে তারপর জঙ্গলে ছাড়া হবে। ওই রেডিও-কলারের মাধ্যমে দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। সোমবার, লোকসভায় জানালেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে (Ashwini Kumar Choubey)।
১৯৫২ সালেই ভারত থেকে বিলুপ্ত হয়েছিল চিতা। বর্তমানে ভারতে একমাত্র চিড়িয়াখানায় চিতা রয়েছে, কোনও জাতীয় উদ্যান বা অভয়ারণ্যে চিতা নেই। বড় আকারের মাংসাশী প্রাণীদের মধ্যে একমাত্র চিতাই স্বাধীন ভারতে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ভারতে ফের চিতার জনসংখ্য়ার বিস্তার ঘটাতে গেলে, বিদেশ থেকে চিতা আনা ছাড়া গতি নেই। অথচ, চিতা ভারতীয় বাস্তুতন্ত্রের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই প্রাণীকে ভারতের জীব বিবর্তনের অন্যতম প্রপধান শক্তি এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বন প্রতিমন্ত্রী। ভারতে চিতার জনসংখ্যা ফিরে আসলে, খোলা জঙ্গল, তৃণভূমি এবং স্ক্রাব ইকোসিস্টেমগুলিতে পরিবেশ সংরক্ষণের কাজ আরও ভাল হবে।
তাই, আগামী পাঁচ বছরে আফ্রিকার জঙ্গল থেকে চিতা এনে ভারতের জঙ্গলে ছাড়ার জন্য অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। যে ১২ থেকে ১৪ টি চিতা আনা হবে, তার মধ্যে ৮ থেকে ১০ টি থাকবে পুরুষ এবং ৪ থেকে ৬ টি মহিলা। জিনগতভাবে বৈচিত্র্যময়, রোগমুক্ত এবং প্রজননের আদর্শ বয়সের চিতা আনা হবে। চিতাগুলি বাছাইয়ের সময়, তারা বনে শিকার করে খেতে পারবে কিনা এবং সামাজিকভাবে তারা একে অপরের প্রতি সহনশীল কিনা, তা দেখা হবে। প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছরের জন্য বিভিন্ন আফ্রিকান দেশ থেকে এই চিতাগুলি আনা হবে। তারপর দেশে চিতার জনসংখ্যা তৈরির জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী আরও চিতা আনা হবে, এমনটাই ঠিক করা হয়েছে।
বন প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে আরও জানিয়েছেন, ২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬ এই প্রথম ৫ বছরের জন্য চিতা প্রকল্পে ৩৮.৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের 'প্রজেক্ট টাইগার'এর অধীনে।