২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর প্রখ্যাত সাংবাদিক করণ থাপর এক সাক্ষাতকার নেন প্রশান্ত কিশোরের। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দুর্বলতার কথা পিকে জানিয়ে দিয়েছিলেন সবাইকে।
প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor), ২০১৪ সালে সারা দেশে মোদী ম্যাজিক ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম কান্ডারী। সেই সময় নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ও বিজেপির (BJP) রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক কৌশলী হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে (PK)। নরেন্দ্র মোদী যদি কেউ হাতের তালুর মতো চেনেন, তবে তিনি পিকে। কারণ মোদীর ডাকেই বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কাজ করতে শুরু করেন তিনি।
২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর প্রখ্যাত সাংবাদিক করণ থাপর এক সাক্ষাতকার নেন প্রশান্ত কিশোরের। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দুর্বলতার কথা পিকে জানিয়ে দিয়েছিলেন সবাইকে। তিনি জানিয়ে ছিলেন একটি বিষয় রয়েছে, যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দুর্বলতা হিসেবে ধরা যায়। তা হল নেতা হিসেবে, মোদী আরও উদার হতে পারতেন, যা তিনি হননি। প্রশান্ত কিশোর জানিয়ে ছিলেন মোদীর সবচেয়ে বড় দুর্বলতাই হল “lack of benevolence”।
করণ থাপর প্রশ্ন করেছিলেন উদার মানে কী বলতে চাইছেন পিকে, তার উত্তরে প্রশান্ত কিশোর বলেন উদার অর্থে তিনি বোঝাতে চাইছেন নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদী আরও ক্ষমাশীল হতে পারতেন। দ্রুত কোনও খারাপ ঘটনা ভুলে তা মেরামত করতে চাওয়া উদারতার মধ্যে পড়ে, যা নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে নেই।
এই সাক্ষাতকারে মোদীর গুণাবলীর কথাও তুলে ধরেন পিকে। তিনি বলেন নরেন্দ্র মোদী অনেক গুণের অধিকারী। যে কেউ তাঁর সম্পর্কে একটি বই লিখে ফেলতে পারবে। তবে এক কথায় বলতে গেলে তাঁর যে অভিজ্ঞতা রয়েছে, তা অনন্যসাধারণ। গোটা ভারতে এমন অভিজ্ঞতার অধিকারী নেতা কমই রয়েছেন।
প্রশান্ত কিশোর আরও বলেন ১৫ বছর ধরে আরএসএসের প্রচারক হয়ে কাজ করেছেন মোদী। ফলে সমাজের নীচুতলার মানুষের মন খুল ভালো বোঝেন তিনি। এরপর মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁর দীর্ঘ সময় কাটানো তাঁকে অভিজ্ঞ থেকে অভিজ্ঞতর করে তুলেছে। মোদী একজন খুব ভালো শ্রোতা বলে জানান প্রশান্ত কিশোর।