ত্রিপুরায় অভিষেকের গাড়িতে হামলা, সংসদে সরব ডেরেক, টুইটারে ক্ষোভপ্রকাশ দলীয় নেতাদের

ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যাওয়ার পথে অভিষেকের গাড়িতে হামলা চালানো হয়। বাঁশ ও লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয় তাঁর গাড়ির কাঁচে। ভেঙে যায় কাঁচ। এই হামলার ঘটনায় সংসদে সরব হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। 

Asianet News Bangla | Published : Aug 2, 2021 11:57 AM IST

আজ সকালেই ত্রিপুরায় পা রাখেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তাঁর পৌঁছানোর আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল ত্রিপুরায়। আর তাঁকে দেখার পর আরও খারাপ হয়ে যায় পরিস্থিতি। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যাওয়ার পথে তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয়। বাঁশ ও লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয় তাঁর গাড়ির কাঁচে। ভেঙে যায় কাঁচ। এই হামলার ঘটনায় সংসদে সরব হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। সংসদের বাইরে একজন সাংসদের উপর কেন এই ধরনের হামলা চালানো হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর পাশাপাশি এই ঘটনায় টুইটারে সরব হয়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী। 

আরও পড়ুন- ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির যাওয়ার পথে অভিষেকের গাড়িতে হামলা, ভাঙল কাঁচ

রাজ্যসভায় ডেপুটি স্পিকারের সামনে ডেরেক বলেন, "আপনি বলছেন সংসদে শান্তি বজায় রাখতে। সেটা যেমন প্রয়োজন তেমনই সংসদের বাইরেও শান্তি বজায় রাখা দরকার। ত্রিপুরায় লোকসভার একজন সাংসদের উপর হামলা হয়েছে। সরকার সব জায়গায় বিরোধীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।" যদিও ডেরেকের এই মন্তব্যের পরে ডেপুটি স্পিকার বলেন, "এই ধরনের মন্তব্য সংসদে করা উচিত নয়। আপনি সংসদের নিয়ম জানেন। তাই এই মন্তব্য রেকর্ড করা হবে না।"

 

 

আরও পড়ুন- Tripura পৌঁছলেন Abhishek, উঠল 'Go Back' স্লোগান, দেখানো হল কালো পতাকাও

অভিষেকের উপর হামলার ঘটনায় টুইটারে সরব হয়েছেন সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল রায়। তিনি লেখেন, "তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর এই ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা করছি।" পার্থ চট্টোপাধ্যায় লেখেন, "ত্রিপুরায় গণতন্ত্র বিপন্ন। আমি আমি অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনার নিন্দা করছি।" কাকলি ঘোষ দস্তিদার টুইটারে লেখেন, "বিজেপি-র লজ্জা হওয়া উচিত। বিজেপি কেন এত ভয় পাচ্ছে?" অরূপ বিশ্বাস লেখেন, "ত্রিপুরায় অভিষেকের উপর হামলার তীব্র নিন্দা করছি। ভয় থেকে ত্রিপুরা সরকার গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে। তবে এটা আমাদের থামাতে পারবে না।"

 

 

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ফিরহাদ হাকিম লেখেন, "ত্রিপুরায় গণতন্ত্র বিপন্ন! অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনা থেকে স্পষ্ট যে বিজেপি এই হামলা চালিয়েছে। অতীতেও তারা এই ধরনের হামলা চালিয়েছে।"

 

 

এদিকে অভিষেকের টুইট তুলে ধরে বঙ্গ বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, "বাংলায় বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে এমন আচরণ সাধারণ ব্যাপার। এখন দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের হিংস্র কর্মীদের ত্রিপুরায় পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এটা করা হবে।"

 

 

উল্লেখ্য, ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের কাছে চড়িলাং এলাকায় প্রথমে আটকানো হয় অভিষেকের কনভয়। রাস্তায় পোস্টার হাতে বসে পড়ে স্কুলপড়ুয়ারা। ওঠে ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গো ব্য়াক’ স্লোগান। দেখানো হয় কালো পতাকাও। অভিষেক নিজে গাড়ি থেকে নেমে কথা বলেন পড়ুয়াদের সঙ্গে। তারপর তাঁর রাস্তা ছেড়ে দেওয়া হয়। মন্দিরে তিনি পৌঁছালে সেখানেও তাঁকে লক্ষ্য করে স্লোগান দেওয়া হয়। মন্দিরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেই কারণে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। মন্দির চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, 'ত্রিপুরার মানুষ বিচার করবেন।'

Share this article
click me!