এবার সরাসরি একটি তালিকা নিয়ে হাজির হলের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে বলেন, এই বিপর্যয়গুলি তৈরি করেছেন নরেন্দ্র মোদী। কী কী কারণে রাহুল গান্ধী মোদীকে বিপর্যের কারণ বলছেন তাও তুলে ধরেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল গান্ধী যে তালিকা দিয়েছেন সেই তালিকায় প্রথমেই বলেছেন, ঐতিহাসিক জিডিপি নেমেগেছে মাইনাস ২৩.০৯ শতাংশ। গত চার দশকে দেশের অর্থনীতিতে এমন বেহাল দশা দেখা যায়নি। যা নিয়ে রাহুস গান্ধী কিছুটা কটাক্ষের সুরেই 'ঐতিহাসিক' শব্দটি যোগ করেছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। দ্বিতীয় তালিকায় রয়েছে বেকারিত্ব। তিনি বলেছেন ৪৫ বছরে সব থেকে বেকারি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এই সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তাও রাহুল গান্ধী বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ১২ কোটি মানুষের চাকরি হারানোর কথা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে প্রধানমন্ত্রী বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই বিষয়টিও উল্লেখ করতে চেয়েছেন তিনি। তালিকার চার নম্বরে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে জিএসটির প্রাপ্য অংশ দিচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে টানা লকডাউনের কারণে জিডিপির বেহাল দশা। প্রথম থেকেই রাহুল গান্ধী লকডাউনকে অপরিকল্পতি বলে দাবি করে এসেছিলেন। রাহুলের তালিকার পাঁচ নম্বরে রয়েছে দৈনিক করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা রীতিমত উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতের। যা নিয়ে বিরোধীরাও নিশানা করতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তাঁর তালিকায় সর্বশেষ বিপর্যয়ের কারণ হল সীমান্ত উত্তেজনা। চিন ইস্যুতে প্রথম থেকেই রাহুল গান্ধী সরব ছিলেন। চিনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছে কিনা তা জানতেও চেয়েছিলেন তিনি।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের অনেক আগেই রাহুল গান্ধী বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেনষ ফেব্রুয়ারি মাসেই মহামারির কারণে দেশ আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। একই সঙ্গে লকডাউন নিয়েও তিনি একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন। লকডাউনকে অপরিকল্পিত লকডাউন বলেই কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছিলেন। এদিন সবমিলিয়ে তিনি আবারও নতুন করে নিশানা করেন কেন্দ্রের মোদী সরকারকে।