সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাতকারে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। দলের সব ধরণের কর্মসূচিও বাতিল করা হয়েছে।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়া বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় বিজেপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস। রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিও। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। রবিবারই দলের নির্বাচনী ইশতেহার (poll manifesto) প্রকাশ করার কথা ছিল গেরুয়া শিবিরের (Bharatiya Janata Party)। হওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভার্চুয়াল বৈঠকও (Prime Minister Narendra Modi's virtual meeting)। এছাড়াও ভোটমুখর গোয়া জুড়ে একাধিক রাজনৈতিক পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। তবে বাতিল করা হল সব। কারণ এদিনই দেশ হারিয়েছে তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান, লতা মঙ্গেশকরকে (legendary Indian singer Lata Mangeshkar)।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাতকারে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। দলের সব ধরণের কর্মসূচিও বাতিল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় 'জনসংকল্প সভা'-তে উত্তর গোয়ার ভোটারদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর। তবে সেসব পরিকল্পনা আপাতত বাতিল। মুম্বই উড়ে যাওয়ার আগে টুইট করেন মোদী। তিনি বলেন লতাজীর শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। তাই আর কিছুক্ষণের মধ্যেই মুম্বই যাবেন তিনি।
এর আগে, লতার প্রয়াণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই টুইটারে একাধিক টুইট করেন মোদী। তিনি লেখেন, "আমি অত্যন্ত মর্মাহত। এই শোক ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। প্রিয় দয়াময়ী লতা দিদি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। দেশে একটা শূণ্যতা রেখে চলে গেলেন তিনি। যা কখনও পূরণ করা সম্ভব নয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাঁকে ভারতীয় সংস্কৃতির একজন অনন্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে মনে রাখবে, সুরেলা কণ্ঠ দিয়ে মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করার এক অতুলনীয় ক্ষমতা ছিল তাঁর।"
এদিন দুপুর ৩ টে থেকে ৪ টে পর্যন্ত প্রভা কুঞ্জের বাড়িতে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় লতা মঙ্গেশকরকে। হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া সময় সমস্ত হাসপাতাল কর্মীরা পিছু পিছু এগিয়ে আসেন তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। শেষ রক্ষা হয়নি। কঠিন লড়াই দীর্ঘ ২৮ দিনের। শনিবার দুপুরেই স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন থেকেই চলছিল অ্যাগ্রেসিভ ট্রিটমেন্ট। ডাক্তারের কথায় তিনি প্রাথমিক অবস্থায় টলারেট করছিলেন এই চিকিৎসা পদ্ধতি, রাতের দিকে অবস্থার উন্নতিও ঘটে।
করোনার সঙ্গে লড়াই করে জয় লাভ করেছিলেন তিনি, তবে বার্ধক্য জণিত কারণে শরীরের শক্তি ক্ষয় হয়, শেষে কঠিন লড়াই করে মাল্টি ওর্গান ফেলিয়রের কারণে প্রয়াত হন ভারতের সুর-সম্রাজ্ঞী। এদিন খবর সামনে আসা মাত্রই বিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের বাইরে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা, গ্রীন করিডোর করেই তাঁর পার্থিব দেহ নিয়ে যাওয়া হয় প্রভাকুঞ্জ অর্থাৎ লতা মঙ্গেশকরের বাড়িতে।