রাজ্যসভায় মধ্য়ে মার্শালদের সঙ্গে তীব্র হাতাহাতি বিরোধী সাংসদদের। বুধবার কী ঘটেছিল রাজ্যসবার বাদল অধিবেশনে, দেখুন ভিডিও।
সংসদে এমন দিন এর আগে কোনওদিন দেখা গিয়েছে কিনা সন্দেহ। বুধবার, রাজ্যসভায় যেন তাণ্ডব শুরু হয়েছিল। বিরোধী দলনেতা এবং সাংসদদের সঙ্গে, এমনকী মহিলা সাংসদদের সঙ্গেও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন রাজ্যসভার মার্শালরা। আর যার নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। বিরোধী দলের অভিযোগ, সংসদে তাদের পেটানোর জন্য 'বহিরাগত'দের মার্শালের পোশাক পরিয়ে আনা হয়েছিল। অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে অধিবেশন চলাকালীন বিরোধীদের আচরণের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার মোদী সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার ওই ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করা হয়েছে।
সরকারি সূত্র দাবি করা হয়েছে, এই ভিডিওই বিরোধী দলগুলির তঞ্চকতা প্রকাশ করে দেবে। কী দেখা যাচ্ছে এই ভিডিও ক্লিপে? আড়াই মিনিটের ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, মহিলা সাংসদ-সহ প্রতিবাদী বিরোধী সাংসদরা মার্শাল এবং লেডি মার্শালদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। তাদের ঘিরে দাঁড়িয়ে আরও বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য ক্রমাগত স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন। ভিডিওতে আরও দেখা যাচ্ছে কয়েকজন সাংসদ কিছু কাগজপত্র ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে চেয়ার লক্ষ্য করে ছুঁড়ে দিচ্ছেন। পরে, এক ব্যক্তিকে হাউসের ওয়েলে ঢুকে একটি টেবিলে উঠে দাঁড়াতেও দেখা যায়। অন্য সাংসদরা অবশ্য তাঁকে পিছন থেকে ধরে রেখেছিলেন। তবে সাংসদরা মার্শালদের মারধর করছেন, না উল্টোটা ঘটছে তা এই ভিডিও থেকে স্পষ্ট করে বলা অসম্ভব।
জানা গিয়েছে, সাধারণ বীমা ব্যবসা (জাতীয়করণ) সংশোধনী বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করার পর বিরোধীরা তা একটি নির্বাচিত কমিটির কাছে পাঠানোর দাবি করেছিলেন। বিলটি রাষ্ট্রায়ত্ব বীমা কোম্পানিগুলিতে সরকারের অংশিদারি কমিয়ে আরও বেসরকারি অংশগ্রহণ বাড়ানোর কথা বলেছে। বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও, তীব্র বিশৃঙ্খলার মধ্যেই বিলটি পাস করায় সরকার। তাতেই বিরোধীদের বিক্ষোভে ঘৃতাহুতি পড়েছিল।
আরও পড়ুন - ভারতের প্রথম মহাকাশ পর্যটক হতে চলেছেন কেরলের এই ব্যবসায়ী, খরচ করেছেন ১.৮ কোটি টাকা
আরও পড়ুন - Nirbhay Cruise Missile - সফল দেশি ইঞ্জিন, তাও মাঝপথে পড়ে গেল ডিআইডিওর ক্ষেপণাস্ত্র
বৃহস্পকতিবার সকাল থেকেই রাজ্যসবার ওই ঘটনা নিয়ে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ দেকা গিয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী জনা ১৫ জন বিরোধী নেতাকে নিয়ে সংসদের বাইরে এক বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে দেখা করে তাঁরা অভিযোগ করেন যে, পার্লামেন্টের নিরাপত্তার অংশ নন, এমন বহিরাগত ব্যক্তিদের দিয়ে বিরোধী দলনেতা এবং মহিলা সদস্য-সহ সাংসদদের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছে। রাজ্যসভার সদস্য শিবসেনার সঞ্জয় রাউত বলেছেন, এমন ঘটচিল যে তাঁর মনে হয়েছিল, পাকিস্তান সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছেন। অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকেও বিরোধীদের এইসব আক্রমণ মোকাবিলায় সাতজন মন্ত্রীকে মাঠে নামানো হয়েছে। তাঁরা সব দোষ বিরোধীদের দিকেই ঠেলে দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেছেন।