
Murder Case: রাস্তার পাশে পড়ে ছিল একটি লাল রঙের ট্রলিব্যাগ। আর তার মধ্যেই ভরা একটা সিমেন্টের বস্তা। ঠিক সেই বস্তার মধ্যেই ছিল এক প্রতিবন্ধী যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। ছত্তিশগড়ের রায়পুরে জনবহুল এলাকায় ট্রলিব্যাগ থেকে যুবকের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র ধরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। এবার ওই প্রতিবন্ধীকে খুনের সন্দেহে দিল্লী বিমানবন্দর থেকে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করল ছত্তিশগড় পুলিশ।
মৃতের নাম কিশোর পাইকরা। চাঙ্গোরাভাথা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। রায়পুরের পুলিশ সুপার লাল উমেদ সিংহ জানিয়েছেন, এই খুনের ষড়যন্ত্রকারী সন্দেহে দিল্লী বিমানবন্দর থেকে দুজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী এবং বর্তমানে তাদের জেরা করছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে পুলিশ যাদেরকে আটক করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন অঙ্কিত উপাধ্যায় নামে এক যুবক। তিনি আবার পেশায় আইনজীবী। তাঁর বাবা ছিলেন ছত্তিশগড় পুলিশের একজন অবসরপ্রাপ্ত এএসআই। পুলিশ সূত্রে খবর, যে এলাকায় কিশোরের দেহ পাওয়া গেছে, সেই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঐ দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
এমনকি, পুলিশ এও জানিয়েছে যে, একটি গাড়িতে করে কিশোরের দেহ নিয়ে আসা হয়েছিল। আর সেই গাড়িকে অনুসরণ করে এসেছিল একটি বাইক। ওই বাইকের পিছনের আসনে বসেছিলেন এক মহিলা। তাঁর মুখ অবশ্য কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। যদিও পুলিশ পরে তাঁকে শনাক্ত করতে পারে। তিনি ছিলেন অঙ্কিতের স্ত্রী।
সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গে অঙ্কিতের যোগ রয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সেই কিশোর হান্ডিপাড়ার এইচএমটি এলাকায় থাকতেন। মোহাদি গ্রামে তাঁর একটি জমি ছিল। অঙ্কিতের সহায়তাতেই ৫০ লক্ষ টাকায় জমিটি বিক্রি করেন ঐ কিশোর। কিন্তু তিনি যখন হাতে টাকা পান, তখন দেখেন ২০ লক্ষ টাকা কম রয়েছে। তা নিয়ে অঙ্কিতের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। এমনকি, অঙ্কিতের নামে পুলিশে অভিযোগ করবেন বলেও হুমকি দেন। তারপরেই ঐ কিশোরের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো রহস্য ঘনীভূত হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।