নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলল খুনের আসামি
অর্পণ করল শিবলিঙ্গে
গোয়ালিয়র-এর এক জেলের ঘটনা
দেড় বছর আগে এক থানায় ঢুকে পুলিশ খুন করেছিল সে
লকডাউনের মধ্যে কত অত্যদ্ভূত ঘটনাই না ঘটছে। মঙ্গলবার ভারতের অন্যতম করোনা-ধ্বস্ত রাজ্য মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের এক জেলে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটালেন এক খুনের আসামি। জেলে খাওয়ার জন্য য়ে চামচ দেওয়া হয়, সেই চামচেই ধার দিয়ে, তার সাহায্যে নিজের পুরুষাঙ্গটি কেটে 'শিবলিঙ্গ'-এর কাছে দান করেছেন তিনি। মঙ্গলবার একেবারে ভোরবেলা সূর্য ওঠার আগেই সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে ওই বন্দি।
কারাগারের সুপারিন্ডেন্ডেন্ট, মনোজ সাহু জানিয়েছেন, এদিন সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিষ্ণু সিং রাজাওয়াত নামে ওই বন্দিকে তার জেল-কক্ষে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে কারারক্ষীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কাছের এক সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। জেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট, জেলার প্রভাত কুমার-কে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কারা প্রশাসনও বাহোদপুর থানাকে এই ঘটনার কথা জানিয়েছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।
পরে, বিষ্ণু সিং রাজাওয়াত হাসপাতালের শয্যা থেকে বলে, জেল থেকে যে চামচ দেওয়া হয়েছিল, তাকেই সে ধার দিয়ে ছুরির মতো করে ফেলেছিল, এবং তাই দিয়েই নিজের পুরুষাঙ্গটি কেটে ফেলে সে। তার দাবি সোমবার রাতে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে স্বয়ং ভগবান শিবই তাকে এই কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ' (ভোরবেলা যখন) কারোর চোখ আমার উপর চিল না, সেই সময়ই আমি পুরুষাঙ্গটি কেটে ফেলি এবং জেল চত্বরের অভ্যন্তরের মন্দিরে সেটি শিবলিঙ্গ-এর কাছে অর্পণ করি'। বিষ্ণু সিং রাজাওয়াত আরও জানিয়েছেন, এই কাজের জন্য তাঁর কোনও অনুশোচনা নেই।
বিষ্ণু সিং রাজাওয়াত অবশ্য আজ থেকে প্রায় দেড় বছর আগেও আরেকবার রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটিয়েছিল। সেইবার সে নিজের গ্রাম উমরি-র থানায় ঢুকে সেখানেই এক পুলিশকর্মীকে হত্যা করেছিল। এই অপরাধের জন্য তাকে ৬৩ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে।