১২ কোটিরও বেশি মানুষ কাজ হারালেন ৪০ দিনে, লকডাউন থাবা বসাতে শুরু করল চাকরিতে


আমেরিকায় গত ছয় সপ্তাহে ৩ কোটি মানুষ বেকার ভাতার জন্য আবেদন করেছেন

তাই নিয়েই উদ্বেগে বিশ্ব

এবার সামনে এল ভারতের ছবিটা

৪০ দিনে কাজ হারিয়েছেন ১২ কোটিরও বেশি মানুষ

amartya lahiri | Published : May 5, 2020 3:26 PM IST

মঙ্গলবার ৪২ দিনে পড়েছে বিশ্বের বৃহত্তম লকডাউন। আর তার জেরে গত মাসে ভারতে ১২২ মিলিয়ন অর্থাৎ ১২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন বলে জানালো একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক।

সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি প্রাইভেট লিমিটেডের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২৪ মার্চ থেকে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের ৪০ দিনে ব্যবসাপত্তর বন্ধ থাকার ফলে ১৩০ কোটি মানুষের দেশে বেকারত্বের হার আরও বেড়ে ২৭.১ শতাংশে পৌঁছেছে। আর এই ধাক্কাটা কিন্তু বড় ব্য়বয়াসী বা চাকুরেদের নয়, লেগেছে দিন-মজুর, এবং ছোট ছোট ব্যবসায়ীদেরই। এর মধ্যে হকার, রাস্তার বা ফুটপাথে দোকান চালানো বিক্রেতারা, নির্মাণ শিল্পে নিযুক্ত শ্রমিকরা, রিক্সাচালক, ঠেলাচালকরা, অনেকেই জীবিকা হারিয়েছেন।

এক সর্বভারতীয় পত্রিকায় সিএমআইই-র চিফ এক্সিকিউটিভ মহেশ ব্যাস বলেছেন, 'এটি শুধু উদ্বেগজনক একটি সংখ্যা নয়। এটি একটি হিউম্যান ট্র্যাজেডি। কারণ এরা সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশ।' গত ছয় সপ্তাহে আমেরিকায় ৩০ মিলিয়ন বা ৩ কোটি মানুষ বেকারত্ব বাতার সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন। যা নিয়ে বিশ্বে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সেই তুলনায় ভারতে কাজ হারানো লোকের সংখ্যাটা একেবারে চারগুণ বেশি। সিএমআইই সতর্ক করে বলেছে, অনেক জায়গাতেই লকডাউনের মেয়াদ যদি আরও বাড়ে, তাতে এই তথ্য আরও খারাপ দেখাবে।

ব্যাস আরও জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে, এই লকডাউনটি সমাজের সবচেয়ে দূর্বল শ্রমশক্তি অর্থাৎ অসংগঠিত খাতে নিযুক্ত শ্রমিকদের আঘাত করেছে। ধীরে ধীরে, এটি আরও সুরক্ষিত কর্মক্ষেত্রে আঘাত হানতে শুরু করবে। স্টার্টআপস সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই স্থগিতাদেশ জারি করতে শুরু করেছে এবং শিল্প সমিতিগুলি কর্মক্ষেত্রে কোপের বিষয়ে সতর্ক করেছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত বেকারত্ব বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয় না। বস্তুত করোনাভাইরাস আঘাত করার আগেই ভারতে কর্মসংস্থআনের হার গত ৪৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে নিচে ছিল। মোদী সরকার এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতি পুরণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য প্রকাশ না করায় লগ্নিকারীরা শ্রমবাজারে দিকনির্দেশনার জন্য সিএমআইই-র করা সমীক্ষার উপরেই নির্ভর করে থাকে। ২০১৯ সালের মে মাসে সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই সময়ে জানানো হয়েছিল ২০১৮ সালের জুন মাসে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৬.১ শতাংশ।

 

Share this article
click me!