যোগী রাজ্যে এনকাউন্টারের আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন মুসলমানরা, বিচার চেয়ে হুঙ্কার হিন্দুদের

Published : Oct 17, 2024, 07:06 PM IST
Bahraich violence

সংক্ষিপ্ত

রবিবার সন্ধ্যায় মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ভিড়ের মধ্যে মহারাজগঞ্জ বাজারে মুসলমানরা পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। তা ছাড়া, তারা ব্যাপকভাবে গুলি চালায়। এতে রহুয়া মন্সূর গ্রামের ২২ বছর বয়সী রামগোপাল মিশ্রা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান

পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয় উত্তর প্রদেশের বাহরাইচে। দুর্গা বিসর্জনের সময় ব্রাহ্মণ যুবক রামগোপাল মিশ্রের হত্যার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। সহিংসতার পর থেকে পুলিশ দাঙ্গাকারীদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে। যে আব্দুল হামিদের বাড়িতে রামগোপাল মিশ্রের নির্মম হত্যা হয়েছে, তিনি পরিবারসহ পালিয়ে গেছেন।

পুরো ঘটনা হারদি থানার রহুয়া মন্সূর গ্রামের। রবিবার সন্ধ্যায় মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ভিড়ের মধ্যে মহারাজগঞ্জ বাজারে মুসলমানরা পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। তা ছাড়া, তারা ব্যাপকভাবে গুলি চালায়। এতে রহুয়া মন্সূর গ্রামের ২২ বছর বয়সী রামগোপাল মিশ্রা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আরেকজন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। রামগোপালের মাত্র ৪ মাস আগে বিয়ে হয়েছে। তার পরিবার অভিযোগ করছে যে মুসলমানদের ভিড় তাকে টেনে বের করে গুলি করেছে।

এরপরেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন মুসলমানরা। দুই দিন ধরে পুরো এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে। প্রতিটি গলিতে পুলিশ ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। বাজারে পুড়ে যাওয়া দোকান, শো রুম এবং ভাঙা গাড়ি দেখা যাচ্ছে। এনকাউন্টার আতঙ্কে মুসলিমরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষের বাড়ির গেটে তালা লাগানো রয়েছে। দাঙ্গার পর উত্তেজিত জনতা অনেক বাড়িতে আগুন লাগিয়েছিল। উল্লেখ্য, মহারাজগঞ্জে রামগোপাল মিশ্রার হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে যেখানে জনসংখ্যা ৬ হাজার, এর মধ্যে ৮০ শতাংশ মুসলমান।

উত্তর প্রদেশ পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাহরাইচ সহিংসতার এক অভিযুক্তের নেপালের সাথে সম্পর্ক আগে থেকেই নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বাহরাইচ সহিংসতার পাঁচজন সন্দেহভাজনকে নেপাল পালানোর সময় এনকাউন্টারের পরে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

এনকাউন্টার প্রসঙ্গে উত্তর প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান অজয় রাই বলেন, “এই সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। তাদের দুর্বলতা আড়াল করার জন্য এনকাউন্টার করানো হচ্ছে। সরকার সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর। ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিও ভুয়ো। নিজেদের ভুল আড়াল করতে তারা ভুয়ো এনকাউন্টার এবং হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। তারা এভাবেই চালিয়ে যাবে।”

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
click me!

Recommended Stories

নতুন শ্রম আইনে আপনার বেতনের পরিমাণ খুব বেশি কমবে না,কারণ জানাল মন্ত্রক
যাত্রীদের সমস্যার 'ক্ষতে' ১০০০০ টাকার 'মলম'! IndiGo ভাউচার ঘোষণা করল