Nagaland Firing: কোনও প্রোটোকলই মানেনি আধাসেনা, বিনা প্ররোচনাতেই গুলি

নাগাল্যান্ডে (Nagaland) জঙ্গি সন্দেহে আধাসেনার গুলিতে ১৪ জন অসামরিক নাগরিকের মৃত্যু নিয়ে তোলপার গোটা দেশ। স্থানীয় পুলিশের তদন্তে, আধাসেনার বেশ কিছু গাফিলতি ধরা পড়েছে। 
 

জঙ্গি সন্দেহে আধাসেনার গুলিতে গত ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে নাগাল্যান্ডের (Nagaland) মোন (Mon District) জেলায় প্রাণ গিয়েছে ১৪ জন অসামরিক নাগরিকের। এই ঘটনার তদন্তে, ওই নিরাপত্তা অভিযান চালানোর সময় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর না মানা-সহ আধা সেনার বেশ কিছু ত্রুটি  হয়েছিল, এমনটাই উঠে এসেছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, একেবারে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানো হয়েছে ওই নিরপরাধ ব্যক্তিদের উপর। সেইসঙ্গে, ওখানে যে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আধাসেনার বিশেষ বাহিনীর অভিযান চালাচ্ছে, সেই বিষয়ে কোন নির্দিষ্ট তথ্যও শেয়ার করা হয়নি পুলিশের সঙ্গে। 

চলতি সপ্তাহের শুরুতে সেনার সঙ্গে বৈঠকে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও বিনা উস্কানিতে গুলি চালানো এবং তাদের কিছু না জানিয়েই অভিযান পরিচালনার বিষয়টি উত্থাপন করেন। নাগাল্যান্ডের একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, স্থানীয়দের কোনো উস্কানি ছিল না। সেনা জওয়ানরা তাদের যখন থামতে বলেছিল, সেই সময় তারা একেবারে নিরস্ত্র ছিল। সেনার ডাকে ঘাবড়ে গিয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করেছিল। গাড়ি বেগ বাড়িয়ে তারা যখন পালানোর চেষ্টা করেছিল, সেনা তাদের গাড়ির চাকায় গুলি চালিয়ে তাদের আটকাতে পারত। নির্বিচারে গুলি চালানোর পরিবর্তে তাদের ধরার চেষ্টা করা উচিত ছিল। 

Latest Videos

রাজ্যের আধিকারিক ওই বৈঠকে উপস্থিত কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদের আরও জানান, গত কয়েক দিনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি পুলিশের সঙ্গে সাধারণ কিছু তথ্য ছাড়া আর কিছু শেয়ার করেনি। ওই পথে যে জঙ্গি চলাচলের উপর নজর রাখা হচ্ছে, তাও জানায়নি। বস্তুত কোনও এসওপিই মানা হয়নি। নাগাল্যান্ড পুলিশের একজন সিনিয়র আধিকারিক বলেছেন, সাধারণত, এই ধরনের অপারেশনে, সন্দেহভাজনের পরিচয় প্রতিষ্ঠার জন্য, সেনাবাহিনী স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য নেয়। জঙ্গিদের উপর গুলি চালানো বা আক্রমণ করার আগে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে। তারপরে, পরিচয় প্রতিষ্ঠিত হলে আইন অনুসারে, তাদের গ্রেফতার করে বা গ্রেফতারের চেষ্টা করে। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখে, যাতে অভিযান চলাকালীন বা পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সেই সব স্ট্যান্ডার্ড প্রোটোকলের কিছুই অনুসরণ করা হয়নি।

মৃতদেহগুলিকে যেভাবে অবহেলায় এক গাড়ি থেকে অন্য গাড়িতে স্থানান্তর করেছিল আধাসেনা, তাই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে নাগাল্যান্ড পুলিশ। তারা বলেছে, সেনার সেই অবহেলা বলে দিয়েছে, তারা যে করে হোক দেহগুলি থেকে পরিত্রাণ পেতে চেয়েছিল। স্থানীয় পুলিশ অবশ্য তাদের উপযুক্ত মর্যাদা দিয়েছে। স্থানীয় পুলিশের তৈরি প্রাথমিক প্রতিবেদনেও এই সকল নিয়ম ভঙ্গের বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, বিশেষ বাহিনীর জওয়ানরা অসম সীমান্তে পৌঁছেও নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে।


 

Share this article
click me!

Latest Videos

New Alipore-এ বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন! পুড়ে ছাই একাধিক ঝুপড়ি, আগুন নেভাতে মরিয়া দমকল
‘Mamata Banerjee আজ TMC-র মুখ্যমন্ত্রী আছেন কাল জামাতের মুখ্যমন্ত্রী হবেন’ বিস্ফোরক Sukanta Majumdar
‘West Bengal-এ জঙ্গিদের সরকারের মুখোশ Mamata Banerjee’ Suvendu Adhikari-র ঝাঁঝালো তোপ মমতাকে
ক্যানিং-এ এসে ভেবেছিল ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকবে! রাতেই গ্রেপ্তার কাশ্মীরি জঙ্গি | Canning News Today
কেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করেছিল? আসল কারন ফাঁস করলেন Suvendu Adhikari, শুনলে চমকে উঠবেন