তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নের্তৃত্বে সংসদীয় দলের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান। সূত্রের খবর, এরপরেই বেজায় চটেছেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়, দুইজনকেই শোকজ করেছে তৃণমূল।
নুসরত এবং মিমিকে শোকজ ( showcause) করল তৃণমূল। সংসদ অধিবেশনে তাঁদের নিয়মিত দেখা যায়, এমন কেউ বলতে পারবেন না। যদিও চলতি শীতকালীন অধিবেশনে তাঁদের কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল সেলফিতে। তবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নের্তৃত্বে সংসদীয় দলের বৈঠকে (MP meet of TMC ) অনুপস্থিত ছিলেন মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান (Nusrat Jahan and Mimi Chakraborty )। সূত্রের খবর, এরপরেই বেজায় চটেছেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। দুইজনকেই শোকজ করেছে তৃণমূল (TMC)।
সূত্রের খবর, শুটিংয়ের জন্য রাজস্থানে রয়েছেন অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। যার দরুন তিনি বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি।এদিকে নুসরতের বৈঠকে না আসার কারণ এখনও স্পষ্ট করে কিছু প্রকাশ্যে আসেনি। তৃণমূলের তরফে দলের সংসদদের বার্তা দেওয়া হয়েছিল, সকাল ১০ টায় তৃণমূলের সংসদীয় দলের দফতরে পৌছতে হবে। কিন্তু সেই বার্তা নজরে আসেনি নুসরতের। তৃণমূলের সব সংসদ যখন সাংসদ ভবন চত্ত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নুসরত সেন্ট্রাল হলে বসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তৃতা। অথচ সেদিন মোদীর বক্তৃতা বয়কটেরই কর্মসূচী ছিল তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধীদের।
আরও পড়ুন, MP Holding Liquor Bottle: সংসদে মদের বোতল হাতে বিজেপি সাংসদ, কিন্তু কেন
অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রথম থেকেই অস্বস্তিতে পড়েছিল দল। অভিনেত্রী নুসরত জাঁহানের সঙ্গে নিখিল জৈনের বিয়েতেও গিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই নুসরত দাবি করেননি, তিনি বিএ করেননি। নিখিলের সঙ্গে তার আইনি বিয়ে হয়নি। অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে তিনি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এদিকে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে পিতার নাম প্রকাশ্যে আনতে চাননি নুসরত। তবে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরেই পিতৃপরিচয় প্রকাশ্যে আনেন।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, সংসদে এবং সাংসদদের কোনও বৈঠকে ৯৭ শতাংশ উপস্থিতি অবশ্যই থাকতে হবে। অনুপস্থিত হলে কড়া পদক্ষেপ নেবে দল, একথাও আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি দলীয় স্তরে এক বৈঠক এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন দলে সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। বৈঠকে অভিষেক আরও একবার দলের রীতিনীতি সাংসদের সঙ্গে কথা বলেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামীদিনে কোন পথে সংসদে তৃণমূল সদস্যরা কাজ করবেন, এবিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এবং পাশাপাশি কী কারণে নুসরত ও মিমিওই বৈঠকে আসেননি এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন অভিষেক। যদিও এনিয়ে এখনও অবধি কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান।
প্রসঙ্গত, সংসদ অধিবেশন শুরুর দিন থেকেই উত্তাল দুই কক্ষ। প্রথম দিনেই ১২ জন সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। সেই তালিকায় ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ- দোলা সেন এং শান্তা ছেত্রী। এরপরেই শোরগোল পড়ে যায় দুই কক্ষে। কিছুতেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে নারাজ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কটানাইডু। কিন্তু বিরোধীরাও অনড়। দফায় দফায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ চলছে সংসদ দফতরে।