রাহুল গাঁধীর আক্রমণের জবাব দিতে গিয়ে এবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীকেও ভোটের লড়াইয়ে টেনে আনলেন নরেন্দ্র মোদী। উত্তর প্রদেশের জনসভা থেকে প্রয়াত রাজীব গাঁধীকে "এক নম্বর দুর্নীতিবাজ" বলে মন্তব্য করলেন মোদী। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার জবাব দিলেন রাহুলও।
গত কয়েকমাস ধরেই রাফাল চুক্তি নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। ভোট শুরু হওয়ার পরে সেই আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়েছেন রাহুল। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই ক্রমাগত তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন রাহুল।
এ দিন উত্তর প্রদেশের প্রতাপগড়ে সেই অভিযোগের জবাব দিতে গিয়েই রাজীব গাঁধীর প্রসঙ্গ টেনে আনেন নরেন্দ্র মোদী। রাহুল গাঁধীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, "একমাত্র আপনার বাবার ঘনিষ্ঠরাই তাঁকে সৎ বলতেন, কিন্তু তাঁর জীবন শেষ হয়েছিল এক নম্বর দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে।" স্পষ্টতই রাজীব গাঁধীর আমলে বোফর্স কেলেঙ্কারির দিকে নিশানা করেই এমন মন্তব্য করেন মোদী। প্রসঙ্গত সুইডিশ সংস্থা বোফর্সের থেকে সামরিক অস্ত্র কেনার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা।
কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর এই আক্রমণের জবাব দিয়েছেন রাহুল গাঁধী। টুইটারে তিনি লেখেন, "খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে মোদীজি. কর্মফল ভোগ করার জন্য তৈরি হোন। নিজের সম্পর্কে আপানার অন্তর্নিহিত বিশ্বাসকে আমার বাবার উপরে চাপিয়ে দিয়ে আপনি পার পাবেন না। আমার তরফ থেকে ভালবাসা রইল।" প্রসঙ্গত, সোমবারই পঞ্চম দফার লোকসভা নির্বাচন. এই দফায় অমেঠি কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ হবে, যেখান থেকে এবারেও লড়াই করছেন রাহুল গাঁধী।
রাজীব গাঁধীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের জবাবে রাহুল গাঁধীগিরির পথে হাঁটলেও নরেন্দ্র মোদীকে কড়া জবাব দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা পি চিদন্বরম। পরের পর টুইট করে তিনি লেখেন, "শালীনতার সব সীমা অতিক্রম করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি যাঁকে আক্রমণ করছেন, সেই মানুষটির ১৯৯১ সালে মৃত্যু হয়েছে।" প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আরও দাবি করেন, রাজীব গাঁধীর বিরুদ্ধে বোফর্স কেলেঙ্কারির অভিযোগ খারিজ করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। চিদম্বরম লেখেন, "প্রধানমন্ত্রী কি একটুও পড়াশোনা করেন? উনি কি জানেন যে রাজীব গাঁধীর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট?" চিদম্বরম মনে করিয়ে দেন, দিল্লি হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন সরকারই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।