অসমে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের উত্তাল বিক্ষোভ পথ আটকাল প্রধানমন্ত্রীর। সিএএ নিয়ে প্রতিবাদের জেরে অসম সফর বাতিল করলেন নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার গুয়াহাটিতে খেল ইন্ডিয়া-র উদ্বোধনে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু গোয়েন্দাদের ইনপুট পেয়ে সেই অনুষ্ঠানে যাওয়া হল না তাঁর।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিপোর্ট দিয়েছিল আগেই। তবুও উদ্য়োক্তারা আশা রেখেছিলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সফর বাতিল করবেন না প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু অসমে লাগাতার নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ চলায় নিরাপত্তার কারণে প্রধানমন্ত্রীর সফর বাতিল করা হয়। রাষ্ট্রপতি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে স্বাক্ষর করতেই বিক্ষোভের আগুন জ্বলে অসম-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে। মেঘালয় এমনকী পশ্চিমবঙ্গেও প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন মানুষ।
অসমে সিএএ প্রতিবাদে নেমে মৃত্যু হয় ৬ জনের। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় দশম শ্রেণির এক ছাত্রের। সম্প্রতি অসমে যান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। উত্তরপূর্বের সামনে রাহুল বলেন, কোনওভাবেই আরএসএস-এর হেড কোয়াটার নাগপুর থেকে অসম চালাতে দেবে না রাজ্য়ের মানুষ। কারণ অসমের ভাষা,সংস্কৃতি ও ইতিহাসে একটা নিজস্বতা আছে। তা গেরুয়া ব্রিগেড কখনোই নষ্ট করতে পারে না।
এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বর্তমানে ব্য়াকফুটে রয়েছে বিজেপি। খোদ রাজ্য়ের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কথা থেকেই তা স্পষ্ট। এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সময় অসমবাসীর ক্ষোভ উপলব্ধি করেছিলেন তিনি। তাঁর আক্ষেপ, যেভাবে এনআরসি হয়েছে, তাতে অনেক নাগরিকই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। অনেক জায়গায় হিসাবে গড়মিল রয়েছে।
রাজ্য়ের এক মন্ত্রী জানান, কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান, কামাখ্যা মন্দির, মাজুলি দ্বীপ, তেজপুর, হাজো, ডিব্রুগড়, শিবসাগরের মতো উত্তম পর্যটনের জায়গা রয়েছে অসমে। সবসময়ই পর্যটকদের ভিড় থাকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যে। কিন্তু সিএএ নিয়ে রাজ্য়ে আন্দোলন শুরু হতেই সব ব্য়বসায় তালা পড়়ে যায়। য়ার জেরে মার খায় রাজ্য়ের পর্যটন শিল্প। যাতে বহু কোটি টাকা ক্ষতির মুখ দেখতে হয় অসমকে।