শুক্রবার রাজকীয়ভাবে দক্ষিণ ভারতীয় সেজে চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংকে স্বাগত জানান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঠিক পরের দিন মামাল্লাপুরমের সমুদ্র সৈকতে আর পাঁচ জনের মতো প্রাতঃভ্রমনে বেড়িয়ে পড়েন তিনি। নিরাপত্তারক্ষীদের দূরে সরিয়ে রেখে হালকা যোগ ব্যায়ামও করেন তিনি অভ্যাস মতো। আর সেই অভ্যাসের বসেই তিনি সমুদ্র সৈকত থেকে নোংরা পরিষ্কার করতে শুরু করেন। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হাতেই তুলে নিচ্ছিলেন সমস্ত নোংরা। কিন্তু সমুদ্র সৈকতে যেমন পড়ে রয়েছে প্লাস্টিক তেমনি রয়েছে পানীয়ের বোতল। মামাল্লাপুরমের সমুদ্র সৈকতে এতটাই বর্জ্য পদার্থ পড়ে রয়েছে, তা হাতে করে পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়েই একটা ব্যাগ জোগাড় করেন তিনি। সৈকতে পড়ে থাকা নোংরা সেখানে রাখতে থাকেন মোদী। এ যেন মোদীর আর পাঁচটা নাগরিকের হওয়ার চেষ্টা। বলতে চাওয়া, 'আমি তোমাদেরই দলে।' তবে মোদীর এই সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার করা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে অনেক।
হঠাৎ করেই নরেন্দ্র মোদী মালাল্লাপুরমে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের জন্য আসেননি। আগেই পরিকল্পনা করা হয়েছে এই বৈঠকের। আগে থেকেই সাফ সুতরো করে ইতিহাস বেষ্টিত মামাল্লাপুরমকে ছবির মতো সাজানো হয়েছে। তবে কি সমুদ্র সৈকতে পরিষ্কারের ফাঁক থেকে গেছিল? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইট করা ভিডিও দেখে নেটিজেনরা প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন। যদিও অনেকেই দাবি করছেন, সমুদ্র সৈকতটি এতটাই নোংরা ছিল, মোদীর খবর আসার পরেও সম্পূর্ণ পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। তাই মোদীর চোখে পড়তেই পরিষ্কারের জন্য হাত লাগিয়েছেন। যদিও বিরোধীরা এই তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, এটা পাবলিসিটি স্টান্ট ছাড়া কিছুই নয়।
যদিওবা পাবলিসিটি স্টান্ট হয়, নেটিজেনদের মনে যে কিছুটা হলেও দাগ কেটেছে, সেটা মোদীর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেই বোঝা যায়। কেউ 'আমাদের মতো সাধারণ মানুষ' বলে মোদীকে সম্বোধন করছেন, তো কেউ বাহবা দিচ্ছেন। তবে বর্তমানে সমুদ্র সৈকতে আবর্জনার বিরুদ্ধে একাধিকবার স্বোচ্চার হয়েছেন দেশের বিদেশের সমাজকর্মীরা। এই আবর্জনা যখন সমুদ্রের গভীরে প্রবেশ করে, বিপন্ন হয় সামুদ্রিক জীবন। সমাজ কর্মীদের ধারণা, প্রধানমন্ত্রীকে দেখে কয়েকজন সাধারণ মানুষও সৈকত পরিষ্কারের দিকে নজর দিলে পরিবেশের জন্য অনেকটা সুখবর। সুখবর সাধারণ মানুষের জন্য।