তিনদিন বাদেই কেন্দ্রীয় বাজেট। ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতির হাল ফেরানো সেখানে বড় চ্য়ালেঞ্জ নরেন্দ্র মোদী আর নির্মলা সীতারামনের কাছে। আর ঠিক সেই মাহেন্দ্রক্ষণেই মোদী আর নির্মলাকে কার্যত চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে রাহুল গান্ধি বললেন, "কোনপথে দেশের হাল ফেরাতে হবে সে সম্বন্ধে কোনও ধারণাই নেই নরেন্দ্র মোদী আর নির্মলা সীতারামনের।"
এদিন রাহুল গান্ধি এক টুইট করে বলেন, অর্থনৈতিক উপদেষ্টাদের নিয়ে একটা ড্রিম টিম রয়েছে মোদীর। সেই টিম কী করেছে? ৭.৫ শতাংশ জিডিপির হারকে ৩.৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। অন্য়দিকে মুদ্রাস্ফীতির হারকে ৩.৫ শতাংশ থেকে ৭.৫ শতাংশে নিয়ে গিয়েছে। হ্য়াশট্য়াগ বাজেট ২০২০ দিয়ে রাহুল লেখেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর একেবারেই কোনও ধারণা নেই, এর পর কী করতে হবে।
মনে করা হচ্ছে, ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গেলে নগদের জোগান বাড়ানো ছাড়া আর কোনও পথ নেই। বেকারির হার গত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ হার ছুঁয়েছে।বৃদ্ধির হার কমতে কমতে ৩.৫শতাংশে এসে ঠেকেছে। যাকে তুলনা করা হচ্ছে নেহরুর আমলের হিন্দু রেট অব গ্রোথের সঙ্গে। যখন বৃদ্ধির হার ২ শতাংশের আশপাশে ঘোরাঘুরি করত। ভোগ্য়পণ্য়ের চাহিদা তলানিতে এসে ঠেকায়, নতুন করে বিনিয়োগ করতে রাজি হচ্ছেন না কেউ। এমতাবস্থায় দেশজুড়ে চলছে ছাঁটাই। গাড়ি শিল্প থেকে নিয়মিত কাজ ছাঁটাইয়ের খবর আসতে থাকছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে আবাসন শিল্পও। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্য়াপক কর্পোরেট কর ছাড় দিয়েও কাজের কাজ কিছু হয়নি।