জলপাইগুড়ি হরিজন বস্তির বাসিন্দা এক যুবকের ধৈর্যের ফল প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এই উদ্যোগ। জলপাইগুড়ি হরিজন বস্তির বাসিন্দা বছর ৩৭ এর যুবক প্রতাপ রাউত।
বন্ধ চা নিলাম কেন্দ্রের বিষয়ে আলোচনা করতে উদ্যোগী কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে বন্ধ হয়ে যাওয়া চা নিলাম কেন্দ্রের ভবিষ্যত নিয়ে আশার আলো দেখছেন কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে ২০২৩ সালের ১৩ই মার্চ চা বোর্ড, ভারত সরকারের প্রতিনিধি এবং NBTAC-এর সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সভার আয়োজন করা হয়েছে। ২০০৫ সালে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র চালু হয়। সেসময় ম্যানুয়ালি নিলামের কাজ চলত। এরপর ২০১২ সালে এই নিলাম কেন্দ্রে ই অকশন চালু হয়। এরপর ২০১৫ সাল থেকে তৈরি চা পাতার অভাবে চা নিলাম বন্ধ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি হরিজন বস্তির বাসিন্দা এক যুবকের ধৈর্যের ফল প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এই উদ্যোগ। জলপাইগুড়ি হরিজন বস্তির বাসিন্দা বছর ৩৭ এর যুবক প্রতাপ রাউত। ২০০৫ সালে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র চালু হয়েছিল। প্রথম দিন থেকে তিনি নিলাম কেন্দ্রের একজন কর্মী হিসেবে দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করে আসছিলেন।
এরপর ২০১৫ সালে চা নিলাম কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। তারপর কর্মহীন হয়ে পড়েন প্রতাপবাবু। কিন্তু কাজ হারিয়ে হতাশ হয়ে বাড়িতে বসে থাকেননি প্রতাপবাবু। সংসার বাঁচাতে নতুন কাজ খোঁজার পাশাপাশি তিনি চা নিলাম কেন্দ্র চালু করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একের পর এক অভিযোগ জানাতে থাকেন।
অবশেষে দীর্ঘ টালবাহানার পর জলপাইগুড়ির বন্ধ চা নিলাম কেন্দ্র ফের চালু করা নিয়ে উদ্যোগ নিলো কেন্দ্রীয় শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রক। টি-ব্রোকার সহ সব পক্ষকে নিয়ে আগামী ১৩ ই মার্চ জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রে একটি বৈঠকের আয়োজন করলো টি বোর্ড।
প্রতাপ রাউত জানান মঙ্গলবার সকালে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ফোন করে জানানো হয় তাঁর অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে তাঁকে ইমেল করা হয়েছে। তাই তাঁর অভিযোগটি ক্লোজ করা হল বলে ধন্যবাদ জানানো হয়। এরপর তিনি ইমেল চেক করে দেখেন তাঁকে উত্তরে বলা হয়েছে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র পুনরায় চালু করা নিয়ে নিলাম কেন্দ্রের ব্রোকার সহ সকল পক্ষকে নিয়ে আগামী ১৩ মার্চ টি বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রতাপবাবু আরও বলেন এই জাতীয় পদক্ষেপের আশায় আমি গত কয়েক বছর ধরে বারবার অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। কিন্তু আশানুরূপ উত্তর পাচ্ছিলাম না। এবারে চিঠি পেয়ে মনে হচ্ছে ভাল কিছু একটা হবে।