মোদী কতখানি ভারতীয় নাগরিক, জবাব দিল তবে কাগজ দেখালো না কেন্দ্রীয় সরকার

Published : Mar 01, 2020, 12:37 PM IST
মোদী কতখানি ভারতীয় নাগরিক, জবাব দিল তবে কাগজ দেখালো না কেন্দ্রীয় সরকার

সংক্ষিপ্ত

নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ-রা কি ভারতীয় মোট ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে হয়েছিল আরটিআই মামলা জবাবে জানা গেল নরেন্দ্র মোদী ভারতীয় কিন্তু, কোনও কাগজে প্রমাণ হল তা  

নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, দিলীপ ঘোষ, বিপ্লব দেব-রা কি আদৌ ভারতীয় নাগরিক? এই প্রশ্ন তুলে তথ্য জানার অধিকার আইনে মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলার জবাবে ভারত সরকারের তথ্য বিভাগ জানিয়ে দিল, ১৯৫৫-র নাগরিকত্ব আইনের ৩ নম্বর সেকশন অনুযায়ী তিনি নরেন্দ্র মোদী জন্মসূত্রে নাগরিক হওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু তার জন্ম ভারতেই কিনা তার প্রমাণ হিসাবে কী কাগজ রয়েছে তা আরটিআই-এর জবাবে জানানো হয়নি। মামলাকারীর কটাক্ষ, 'অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রীও বলছেন 'কাগজ দেখাবো না'।

মাসখানেক আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা ভারতের নাগরিক কিনা তা জানতে চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে মামলা করেছিলেন 'জয় বাংলা সংসদ' নামে এক সংগঠনের সভাপতি প্রণোজিৎ দে। আগে তিনি আম আদমি পার্টি-র পশ্চিমবঙ্গ শাখার যুব সংগঠনের ইনচার্জ ছিলেন। এখন আপ ছেড়ে বাংলা জাতীয়তাবাদী আন্দোলন করেন। বাংলা জাতীয়তাবাদ নিয়ে সরব হওয়া দলগুলিকে এক জায়গায় করেই 'জয় বাংলা সংসদ' গঠন করেছিলেন প্রণোজিৎ।
 
তিনি জানিয়েছেন শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, এই মামলায় তিনি নাম দিয়েছিলেন মোট ১০ জনের। এঁরা হলেন - রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানী, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী এবং বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

আরটিআই-তে এই দশ ব্যক্তিকে নিয়ে মোট তিনটি প্রশ্ন রেখেছিলেন তিনি -

১. উল্লিখিত ওই ১০ ব্যক্তি কি ভারতের বৈধ নাগরিক?

২. যদি তাঁরা এই দেশের বৈধ নাগরিক হন তাহলে কোন কোন নথিপত্রের ভিত্তিতে তাঁরা এই দেশের বৈধ নাগরিক হয়েছেন?

৩. যদি তাঁরা বৈধ নাগরিক না হন তাহলে কেন তাঁরা বৈধ নাগরিক নন?

এরই জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী-সহ সকলকেই জন্মসূত্রে ভারতীয় বলা হয়েছে। কিন্তু, ভারতেই যে তাঁদের জন্ম হয়েছে, তা প্রমাণ হচ্ছে কোন নথির ভিত্তিতে তা জানানো হয়নি। তাই ফের তথ্য অধিকার আইনে একটি মামলা করার কথা ভাবছেন প্রণোজিৎ। কোন কাগজের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাঁদের এই দেশেই তা প্রমাণ করবেন, সেই নথি দেখতে চেয়ে মামলা করবেন তিনি।

প্রণোজিৎ বলেছেন, কাগজ তো দেখতেই হবে। এর শেষ দেখে তবে ছাড়বো। এই প্রশ্নের উত্তর চাই। তথ্য জানার অধিকার সবার আছে। ওঁরা সবার নথি দেখতে চাইছেন, ওঁদের নথিও তো আমজনতা দেখতে চাইতে পারে। ওঁরাও দেশের জনগণ, বাইরের কেউ নন। কোনও রাজনৈতিক দল হিসেবে নয়, সিএএ এনআরসি-র আতঙ্কে থাকা সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরতেই বারবার মামলা করছেন বলে দাবি প্রণোজিৎ দে-র।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

'দাদা আপনি জনস্বাস্থ্যকে বিপন্ন করছেন'! ই-সাগারেট নিয়ে সংসদে TMC Vs BJP তরজা
জেনে নিন আজ শহরে ডিজেল ও পেট্রোলের দাম কত