প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এখনও মোদীই প্রথম পছন্দ দেশবাসীর, অনেক পিছিয়ে রাহুল

  • তৃতীয়বার মোদীকে প্রধানমন্ত্রী চান দেশবাসী
  • ৫৩ শতাংশ দেশবাসী ভোট দিয়েছেন মোদীকে
  • রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী চান ১৩ শতাংশ মানুষ
  • সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে উঠে আসছে এমনি তথ্য
     

Asianet News Bangla | Published : Jan 25, 2020 7:07 AM IST / Updated: Jan 25 2020, 02:26 PM IST

২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ফের ক্ষমতায় ফিরে  এসেছেন নরেন্দ্র মোদী। তারপর থেকে একাধিক ঘটনা ঘটেছে দেশে। কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে ৩৭০ ধারা। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তাল সারা দেশ। এনআরসি ও এনপিআর নিয়ে পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ। দেশএর আর্থিক বৃদ্ধির হাত তলানিতে। হ্রাস পাচ্ছে জিডিপি। বেকারত্বের সমস্যা কপালে ভাজ ফেলছে বিশেষজ্ঞদের। এসবের মাঝে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বেকদায় হলেও জনপ্রিয়তা কিন্তু তিলমাত্র হ্রাস পায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।

প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এখনও দেশবাসীর প্রথম পছন্দ নরেন্দ্র মোদী। ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপের কার্ভে ইনসাইটস মুড অফ নেশন সার্ভেতে এমনটাই উঠে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেশবাসীর পছন্দের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তবে নোমর সংখ্যা রাগার এই দৌড়ে ব্যাবধানটা অনেকটাই। দুজনের মধ্যে ৪০ শতাংশ নম্বরের ফারাক রয়েছে।

যেখানে ৫৩ শতাংশ দেশবাসী পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদীর নাম নিয়েছেন সেখানে মাত্র ১৩ শতাংশ মানুষ রাহুলকে এই আসনে দেখতে চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী দৌড়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সনিয়া। কংগ্রেস সভানেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান ৭ শতাংশ মানুষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পক্ষে ভোট পড়েছে ৪ শতাংশ। অন্যদিকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মোদীর বিকল্প হিসাবে মনে করছেন ৩ শতাংশ দেশবাসী।

 

 

মজার বিষয় হল , তৃতীয়বার মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাইছেন ৬০ শতাংশ হিন্দু ও ১৭ শতাংশ মুসলিম। অন্যদিকে রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চায় ১০ শতাংশ হিন্দু ও ৩২ শতাংশ মুসলিম নাগরিক। 

সার্ভেতে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিম ভারতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় মোদী। এখানকার ৬৬ শতাংশ মানুষ তাঁকে ফের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান। অন্যদিকে রাহুলের ক্ষেত্রে পশ্চিম ভারতে সমর্থন রয়েছে মাত্র ৬ শতাংশ। 

পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম, বিএসপি নেত্রী মায়াবতী, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের নামও উঠে এসেছে এই সার্ভেতে। যদিও পরিসংখ্যানের লড়াইয়ে তাঁরা অনেক পিছিয়েই রয়েছেন। 

দেশএর প্রায় ১২,১৪১ জন মানুষকে নিয়ে করা হয়েছে এই সার্ভে। যার মধ্যে ৬৭ শতাংশ মানুষ গ্রামীণ ভারতের অংশ, বাকি ৩৩ শতাংশ শহরের নাগরিক। ১৯ টি রাজ্যের ৯৭টি লোকসভার ১৯৪টি বিধানসভার মানুষের রায় নেওয়া হয়েছে এখানে। যার মধ্যে স্ত্রী ও পুরুষের সংখ্যা প্রায় সমান-সমান।
 

Share this article
click me!