গরম ও তাপপ্রবাহের ভয়াবহ ছবি তুলল নাসা, কতটা খারাপ অবস্থা ভারতের, দেখুন

দেশের ১৩৩ কোটি জনতার করোনা সংক্রমণের ভয়

সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে বলা হয়েছে বারবার হাত ধুতে

এদিকে তীব্র গরমে শুকিয়ে খাল-বিলের জল

গরমের ভয়াবহ ছবি ধরা পড়ল নাসার উপগ্রহ চিত্রে

 

amartya lahiri | Published : May 28, 2020 2:49 PM IST

সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভারত। একজিকে দেশের ১৩৩ কোটি জনতার করোনা সংক্রমণের ভয়, তার উপর ঘূর্ণিঝড় আমফান, উত্তরপূর্বের বন্যা সামলাতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিপদ আরও বাড়িয়েছে তীব্র গরম এবং তাপুপ্রবাহ। করোনা সামলাতে বারবার হাত ধুতে বলা হয়েছে। কিন্তু, উত্তরভারতের একটা বড় অংশে এই গরমের ফলে খাল-বিলের জল সব শুকিয়ে গিয়েছে।

বস্তুত গত একমাস ধরেই নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ভাবে বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। দিল্লির মৌসম ভবন থেকে বলা হয়েঠে বৃহস্পতিবার থেকে অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হবে। তবে কমপক্ষে আরও পাঁচ-ছয় দিন ধরে চলবে এই তাপপ্রবাহ। কতটা ভয়ঙ্কর সেই গরম ও তাপপ্রবাহ? ধরা পড়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা-র তোলা উপগ্রহ চিত্রে। গত একমাসের উপগ্রহ চিত্র দেখলে মনে হতে পারে উত্তর, পশ্চিম এবং মধ্যভারতে বোঝহয় আগুন লেগেছে। এমনই হলুদ-লাল চাদরে ঢাকা পড়েছে বিস্তৃর্ণ অঞ্চল।

২৭ এপ্রিলের উপগ্রহ চিত্র

২৭ মে-র উপগ্রহ চিত্র

এই মরসুমে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে গত মঙ্গলবার রাজস্থানের চুরুতে। ওই দিন সেখানকার তাপমাত্রা ছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত দশ বছরে মে মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। উত্তর ও মধ্য ভারতের প্রায় সব এলাকারই গড় তাপমাত্রা গত পাঁচ দিন ধরেই ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি রয়েছে। বৃহস্পতিবার চুরুর তাপমাত্রা ছিল ৪৯.৬ ডিগ্রি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নিরিখে তারপরে আছে রাজস্থানেরই গঙ্গানগর এবং বিকানের, দুই এলাকারই তাপমাত্রা ছিল ৪৮.৯ ডিগ্রি আর তারপর রয়েছে পঞ্জাবের ভাটিন্দা, ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বৃহস্পতিবার দিল্লির মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, ২৮ থেকে ৩০ মে-র মধ্যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং পূর্ব-পশ্চিম বায়ুপ্রবাহের কারণে বজ্রপাত-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে ২৮ মে থেকে উত্তর ভারতের সমভূমি এলাকায় সর্বাধিক তাপমাত্রা কমতে পারে। সেইসঙ্গে ২৯ মে থেকে তাপপ্রবাহের পরিমাণ হ্রাসেরও সম্ভাবনা রয়েছে।

 

Share this article
click me!