পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। শনিবার বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। শনিবার বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। সেখানেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নাম উত্থাপন করা হয়েছিল। বিজেপির সভাপতি জানিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে জগদীপ ধনখড়ের নাম নিয়ে দলের সদস্যরা রহমত পোষণ করেছেন।
শনিবার দিল্লিতে ভারতীয় জনতা পার্টির সংসদীয় বৈঠকে ন্যাশানাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের বৈঠকেও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে জগদীপ ধনখড়ের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনিও সম্মতি জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
আগামী ৬ অগাস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাতন হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৯ জুলাই।
বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের সদস্যরা হলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী , কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষও।
রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যথেষ্ট শক্ত জায়গায় রয়েছে বিজেপি ও সহযোগীরা।
জগদীপ ধনখড় রাজস্থানের বাসিন্দা। দক্ষ আইনজীবী হিসেবেই তাঁর পরিচিতি ছিল। ১৯৮৯ সালে ঝুনঝুনু লোকসভাকেন্দ্রের ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন এবং জিতে ছিলেন। তরপর ১৯৯০ সালে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৯৩ সালে রাজস্থান বিধানসভায় কৃষ্ণগড় আসন থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন। ২০১৯ সাল থেকে রাজ্যের রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি।
এই রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একাধিক বিষয়ে রীতিমত সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি। বেশ কয়েকটি বিল সইও করেনননি। যা নিয়ে রীতিমত উগ্বেগ প্রকাশ কেরছে রাজ্য প্রশাসন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও নাম করে কখনও আবার নাম না করে রাজ্যপালের তুমুল সমালোচনা করেছেন।