নিট ও জেইই স্থগিত রাখার পক্ষেই সওয়াল মমতার, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আবেদন মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে

  • নিট ও জেইই পরীক্ষা নিয়ে অবিজেপি বৈঠক
  • পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 
  • কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে একাধিক অভিযোগ 
  • মমতার সুরে সুর মেলালেন উদ্ধব ঠাকরে 

Asianet News Bangla | Published : Aug 26, 2020 10:38 AM IST

ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে সুপ্রিম কোর্টের যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং (জেইই ) ও ডাক্তারি প্রেবেশিকা পরীক্ষা (নিট) পিছিয়ে দেওয়ার দেওয়ার দাবি জানিয়ে বুধবার বিজেপি বিরোধী দলগুলিতে নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। সেই বৈঠকেই পরীক্ষার্থীদের হয়েও সওয়াল করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন গণতন্ত্রে এতটা অত্যাচার আগে কখনও দেখা যায়নি। 

ভার্চুয়াল বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন পরীক্ষার্থীদের সুবিধের জন্য প্রয়োজনে সবরাজ্যকে জোট বদ্ধ হওয়ার আবেদন জানান। প্রয়োজনে একসঙ্গে  সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ারও কথাও বলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বর্তমানে পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। এই অবস্থায় পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানো একান্ত জরুরি । এই পরিস্থিতি পরীক্ষা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়। 

এদিন বিরোধী রাজনৈতিকদলগুলির সঙ্গে বৈঠকেও মমতা বন্দ্যোপাদ্যায় রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার সরকারকে আর্থিক সাহায্য করছে না। মহামারির এই আবহে নিখরচায় রাজ্যসরকার একাধিক পরিষেবা প্রদান করছে। ভেন্টিলেটর ও চিকিৎসা পরিষেবার জন্য প্রচুর পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। 

সনিয়া গান্ধীর ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও ভুপেশ বাঘেলা। 

বর্তমান সময় পরীক্ষা নেওয়ার তীব্র সমালোচনা করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বলেন যদি জুন মাসে পরীক্ষা গ্রহণ না করা যায় তাহলে এখন কেন পরীক্ষা নেওয়া হবে। হেমন্ত সোরেনও বলেন রাজ্যও বর্তমানে সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি বলেন নিট ও জেইই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা তাঁদের অভিভাবকদের সঙ্গে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে ভ্রমণ করবেন। আর তাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। 


 

Share this article
click me!