নতুন সংসদভবনের উদ্বোধন নিয়ে কংগ্রেসের মোদী বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট। কংগ্রেস নিজের অবস্থানে অনড়। কিন্তু কেন এই পদক্ষেপ। রইল তারই কারণ।
আগামী ২৪ মে নতুন সংসদভবনের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু মোদীর এই পদক্ষেপ নিয়ে যথারীতি বিরোধিতা করতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। যারমধ্যে সবথেকে আগে রয়েছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে জয়রাম রামেশ সকলেই এর রিবোধিতা করেছেন। কিন্তু কংগ্রেসের এই বিরোধিতার কারণ খুজতে শুরু করেছে অনেকেই।
যাইহোক এখানে রইল কতগুলি কারণঃ
বর্তমান যে সংসদ ভবনটি রয়েছে সেটির উদ্বোধন হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। ১৯২৭ সালে। সেই অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেতা মতিলাল নেহেরু অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা সামিল হয়েছিলেন। তৎকালীন ভইসপয় লর্ড আরউইন বর্তমান সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস সেই সময়ই এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওযার বিরুদ্ধে নানা যুক্তি দেখাতে পারবে- তারা বলতে পারত ঔপনিবেশিক দখলদারিত্বকে চিরস্থায়ী করে এমন কোনো অনুষ্ঠানে তারা অংশ নেবে না।
অথবা কংগ্রেসও বলতে পারত, বর্তমান যুক্তি অনুসারে, ব্রিটিশ রাজা হলেন সংসদীয় ব্যবস্থার প্রকৃত সাংবিধানিক প্রধান এবং ভাইসরয় নন। তাহলে ভাইসরয় কেন সংসদ ভবন উদ্বোধন করছেন? পরিবর্তে ব্রিটিশ রাজা উদ্বোধন করা উচিত এবং তারপর শুধুমাত্র আমরা উপস্থিত হবে। কিন্তু কংগ্রেস এমন কোনো অযৌক্তিক যুক্তি দেয়নি। এই ধরনের অযৌক্তিকতা শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্য সংরক্ষিত।
কংগ্রসের দৃষ্টিভঙ্গতি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ এজেন্টের থেকেও কি নিকৃষ্ট? এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে কংগ্রেসের আচরণে। কংগ্রেসের এই পদক্ষেপের কারণ হিসেবে যে তথ্যগুলি উঠে আসছে সেগুলি হল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি অবর্ণনীয় ঘৃণা। দুই অধিকারের অনুভূতি যে ভারত গান্ধী পরিবারের সম্পত্তি, অন্য কেউ কীভাবে এই জাতীয় তাৎপর্যপূর্ণ কোনও কার্যকলাপে যুক্ত হতে পারে। তিন, অন্য কোনও যুক্তি অন্যথায় কংগ্রেস এই কাজগুলিকে সমর্থন করতে পারে না।
কংগ্রেস ২০১৭ সালে জিএসটি আসনে অধ্যরাতের অধিবেশন বয়কট করেছিল, সেই সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দুজনেই উপস্থিত ছিল।
যাইহোক কংগ্রেসের তৎকালীন সভানেত্রী সেই সময়ই ছত্তিশগড় বিধানসভার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল বা মুখ্যমন্ত্রীকে বঞ্চিত করে এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। কংগ্রেসের প্রতিটি কাজই গান্ধী পরিবারকে ঘিতে আবর্তিত হয়। সেখানে রাজ্যপাল বা মুখ্যমন্ত্রীর মত সংসদয়ী পদ গুরুত্বহীন। সুতরাং সংক্ষেপে বলা যায় নতুন সংসদের উদ্বোধনের পেছেনই এই বিষয়টি আবর্তিত হচ্ছে। যার মূলে রয়েছে মোদীর প্রতি ঘৃণা ও গান্ধী পরিবারের প্রতি আনুগত্য।
কংগ্রেসের জন্য, পতনের অপরিবর্তনীয় পথে, শীঘ্রই শিখবে যে নতুন ভারত রাজবংশকে ইতিহাসের ডাস্টবিনে তার ন্যায্য অধিকারে সঁপে দিতে বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুনঃ
কংগ্রেস নেতাদের দাবি অযৌক্তিক, নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন বিতর্ক আরও উস্কে দিল সোশ্যাল মিডিয়া
সমীর ওয়াংখেড়ের হাতিয়ার শাহরুখের চ্যাট, বোম্বে হাইকোর্টের রক্ষাকবচ ৮ জুন পর্যন্ত