পুলওয়ামা হামলার অন্যতম চক্রী মহম্মদ ইসমাইল আলভি ওরফে লম্বু খতম হওয়ার দিনই বড় সাফল্য জাতীয় তদন্ত সংস্থার। জম্মু ও কাশ্মীরের ১৫ টি স্থানে দিয়ে মিলল লস্কর-ই-মোস্তাফা গোষ্ঠীর বিভিন্ন সামগ্রী, গ্রেফতার হল এক জঙ্গিও।
শনিবার, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে পুলওয়ামা হামলার অন্যতম চক্রী মহম্মদ ইসমাইল আলভি ওরফে লম্বু খতম হওয়ার দিনই বড় সাফল্য পেল জাতীয় তদন্ত সংস্থা। এদিন পাকিস্তান থেকে ড্রোন মাধ্যমে আইইডি পাঠানো সহ দুটি সন্ত্রাসবাদী মামলার তদন্তে জম্মু ও কাশ্মীরের ১৫ টি স্থানে হানা দিল এনআইএ। শেষ পর্যন্ত লস্কর-ই-মোস্তাফা (LeM) সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর এক সদস্যকে গ্রেফতার করল তারা।
এনআইএ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিনের অভিযানে বেশ কিছু ডিজিটাল ডিভাইস, ব্যবহৃত বুলেটের শেল, পাথরের আঘাত থেকে বাঁচার উপযোগী প্লাস্টিকের মুখোশ এবং হাতে লেখা জিহাদি সামগ্রী-সহ প্রচুর পরিমাণে অপরাধমূলক উপাদান উদ্ধার করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফ -এর সঙ্গে যৌথ অভিযানে এনআইএ এদিন এই মামলায় শোপিয়ান, অনন্তনাগ এবং জম্মু জেলার নয়টি স্থানে তল্লাশি চালায়। অনন্তনাগের বাটিঙ্গু থেকে ইরফান আহমেদ দার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী সে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল।
এই এলইএম বা লস্কর-ই- মোস্তাফা, পাক জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদেরই শাখা হিসাবে পরিচিত। গত ফেব্রুয়ারিতে মাসে এই গোষ্ঠীর প্রধান হিদায়াতুল্লা মালিক এবং তার সহযোগী নাজির আহমদকে জম্মু থেকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। দুজনেই ছিল শোপিয়ানের বাসিন্দা। এই গোষ্ঠী পাকিস্তান থেকে আসা সন্ত্রাসীবাদীদের জন্য জম্মু-কাশ্মীরে ঘাঁটি তৈরির চেষ্টায় ছিল বলে জানা গিয়েছে। এর জন্য নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বিভিন্ন এলাকায় তারা অস্ত্র ও গোলাবারুদ জড়ো করছিল।
এনআইএ জানিয়েছে, প্রথমে এই মামলাটি জম্মুর গাঙ্গিয়াল থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও নিরাপত্তাকে হুমকি দেওয়ার অভিপ্রায়ে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র করছে এলইএম। ২ মার্চ মামলাটির তদন্তভার নিয়েছিল এনআইএ।