দিল্লি গাড়ি বিস্ফোরণ মামলার NIA তদন্তে জানা গেছে যে জইশ মডিউল হামাসের মতো ড্রোন হামলা এবং মিনি-রকেট দিয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কাশ্মীরি অভিযুক্ত জাসির বিলাল ওয়ানি ড্রোন মডিফিকেশন এবং বিস্ফোরক প্রযুক্তিতে প্রধান ভূমিকা পালন করছিল।
দিল্লির লালকেল্লার সামনে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় অনেকের। আহত হন বহু। ইতিমধ্যেই একাধিক এজেন্সি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তাদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গিযোগ রয়েছে। দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে শাহীনকে গ্রেফতারের পরই, জঙ্গিযোগের কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। জইশ-ই-মহম্মদ মডিউলটি দিল্লিতে ড্রোন ও মিনি-রকেট ব্যবহার করে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিল। NIA সময়মতো এই হাই-টেক সন্ত্রাসবাদী চক্রান্ত ফাঁস করে দেয়।
25
কে এই জাসির বিলাল ওয়ানি?
কাশ্মীরি যুবক জাসির বিলাল ওয়ানি ড্রোন মডিফিকেশন, রকেট তৈরি এবং বিস্ফোরক প্রযুক্তিতে দক্ষ ছিল। তাকেই এই ষড়যন্ত্রের মূল প্রযুক্তিগত মস্তিষ্ক বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার জম্মু কাশ্মীরের অন্ততনাগ জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও এক ষড়যন্ত্রীকে। ধৃতের বিরুদ্ধে উঠেছে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ড্রোন ব্যবহার থেকে রাসায়নিকের মশলা তৈরির সমস্ত দায়িত্বে থাকার অভিযোগ।
35
গাড়ির নিচে মিলল ‘জুতো বোমা’!
চালকের আসনের নিচে একটি জুতোর মধ্যে TATP বিস্ফোরকের চিহ্ন পেয়েছে ফরেনসিক দল। জঙ্গিরা অতিরিক্ত ট্রিগার সিস্টেম হিসেবে এটি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল বলে সন্দেহ NIA-এর।
ড্রোন-রকেট-জুতো বোমা দিয়ে মাল্টি-লেয়ার হামলার ছক!
জঙ্গিরা গাড়ি বোমা, ড্রোন বোমা, ছোট রকেট এবং জুতো বোমা ব্যবহার করে একসঙ্গে একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল। এই মডিউল সফল হলে বড় বিপর্যয় ঘটতে পারত। সোমবার কাশ্মীরের অন্ততনাগ জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আত্মঘাতী উমর উল নবির আরও এক সঙ্গীকে। সূত্রের খবর, বিস্ফোরক বানানোর সঙ্গে সঙ্গে দানিশ জঙ্গি মডিউলটিকে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিত। হামলার আগে জেহাদিদের হাতে তুলে দিত নিজের হাতে বানানো ড্রোন।
55
দিল্লি, কাশ্মীর থেকে হরিয়ানা, একাধিক রাজ্যে NIA-এর তল্লাশি!
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর NIA দিল্লি, কাশ্মীর ও হরিয়ানার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। এই মডিউলের পেছনে থাকা বড় নেটওয়ার্কের খোঁজে তদন্ত চলছে। জানা গিয়েছে, গত ১১ নভেম্বর সোমবার দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে দেশজুড়ে অপরাধীদের ধরতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে দিল্লি পুলিশ, এনআইএ এবং তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ফের সাফল্য এনআইএ-র।