সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর ওপর হামলাকারী যুবকের নাম শঙ্কর কুমার বর্মা। তার বাড়ি বখতিয়ারপুরেই।
রবিবার পাটনার বখতিয়ারপুরে (hometown Bakhtiyarpur) বিহারের মুখ্যমন্ত্রী (Bihar Chief Minister) নীতিশ কুমারের (Nitish Kumar) ওপর হামলা চালায় এক যুবক। নীতিশকে ঘুষি মারে ওই যুবক (Attacked By Man)। পুলিশ যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এদিকে, ওই যুবক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলে জানা গেছে। এর আগেও সে অদ্ভুত সব কাজ করেছে। একসময় সে বাড়ির ছাদ থেকে লাফও দিয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
নীতিশ কুমার কর্মকর্তাদের ওই অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে বিপথগামী যুবকদের সমস্যা বোঝা দরকার। সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর ওপর হামলাকারী যুবকের নাম শঙ্কর কুমার বর্মা। তার বাড়ি বখতিয়ারপুরেই। যুবকের পরিবারের সদস্যরা জানান, শঙ্কর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। কয়েকদিন আগে বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দেন।
ঘটনাটিকে "দুর্ভাগ্যজনক" আখ্যা দিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অশোক চৌধুরী বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের একটি ত্রুটি ছিল। তদন্ত হওয়া উচিত"। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে যে মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয় সাফার হাসপাতাল কমপ্লেক্সে রাজ্যের বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী শীলভদ্র ইয়াজির মূর্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যাচ্ছিলেন, তখন হামলাটি ঘটেছে।
শুরু হয়েছে তদন্ত
মুখ্যমন্ত্রীর ওপর হামলার পর পুলিশ মহলে তোলপাড়। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় কীভাবে ঘাটতি হল তা খতিয়ে দেখছেন শীর্ষ আধিকারিকরা। এডিজি হেডকোয়ার্টার জিতেন্দ্র সিং গাঙ্গওয়ার জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তদন্ত চলছে। আমরা প্রতিটি কোণ থেকে তদন্ত করছি, কীভাবে নিরাপত্তার ঘাটতি হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর জন্য দায়ী কারা? দোষী পুলিশ সদস্য বা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীকে রক্ষার দায়িত্ব এসএসজির
মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব এসএসজির। এসএসজি কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর চারপাশে একটি ব্যুহ তৈরি করে রাখে। পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকে। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থাও প্রত্যেক সময়ে সময়ে অডিট করা হয়। এর পরেও এক যুবক মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে তাঁকে আক্রমণ করার ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পুরানো লোকসভা কেন্দ্র বার-এর বিভিন্ন অংশে সফর করছেন। নীতিশ কুমার ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বারহ থেকে পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছিলেন। নীতিশ এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে হামলার মুখে পড়ন। সেই সময় তিনি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বিহারের মধুবনীতে প্রচার করছিলেন।
বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদব হামলার নিন্দা করেছেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন।