দুটো ডোজ নেওয়া থাকলে কোয়ারেন্টাইনের দরকার নেই, ভারতের জন্য দরজা খুলল সৌদি আরব

যেসব ভারতীয় নাগরিকরা সৌদি আরবে করোনা ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নিয়ে ভারতে এসেছেন, তাঁরা নিশ্চিন্তে সৌদি আরবে ফিরতে পারেন। সেক্ষেত্রে কোনও কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ডে থাকার প্রয়োজন তাঁদের হবে না। 

Parna Sengupta | Published : Aug 25, 2021 6:03 AM IST

সৌদি আরব (Saudi Arabia) থেকে ভারতে (India) আসা নাগরিকদের জন্য সুখবর। এক টুইট বার্তায় সৌদি আরবে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, যেসব ভারতীয় নাগরিকরা সৌদি আরবে করোনা ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নিয়ে ভারতে এসেছেন, তাঁরা নিশ্চিন্তে সৌদি আরবে ফিরতে পারেন। সেক্ষেত্রে কোনও কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ডে (quarantine) থাকার প্রয়োজন তাঁদের হবে না। 

উল্লেখ্য ভারতীয় নাগরিকদের ওপর নির্দেশিকা ছিল, যে কোনও নাগরিক যদি ভারত থেকে সৌদি আরবে ফিরতে চান, তবে অন্য কোনও দেশে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড কাটিয়ে সৌদিতে ফিরতে হবে। সেই বাধা বুধবার থেকে কেটে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এতে বহু ভারতীয়, যাঁরা সৌদি আরবে থাকেন, তাঁদের সুবিধা হল। 

এদিকে, দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আশার কথা শোনালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। একটি সংবাদ মাধ্যমেকে সাক্ষাতকার দেওয়ার সময় তিনি বলেছেন, 'মনে হচ্ছে ভারতে কোভিড ১৯ এন্ডেমিসিটির পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।' এন্ডেমিসিটির অর্থ হল স্থানীয়তা। এন্ডেমিক পর্যায় হল একটি যখন কোনও দেশের মানুষ ভাইরাসের সঙ্গে বসবাস করতে শেখে। এটি মহামারির একটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। এই পর্যায়ে ভাইরাস জনসংখ্যাকে আচ্ছন্ন করে রাখে।

তিনি আরও বলেছেন ভারতের আকার, জনগণের বৈচিত্র আর অনাক্রম্যতার অবস্থা বিবেচনা করে বলা যেতে পারে, 'খুব সম্ভবত' স্থানীয়তা পেয়েছে গেছে করোনা ভাইরাস। এই পরিস্থিতিতে আক্রান্তের সংখ্যা খুব বেশি কমা বা বাড়া লক্ষ্য করা যাবে না। 

সৌম্যা স্বামীনাথন আশা প্রকাশ করেছেন বর্তমান পরিস্থিতি বজায় থাকলে আগামী ২০২২ সালের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে। তবে তার অন্যতম শর্ত হল টিকারকরণ। তবে শিশুদের কোভিড সংক্রমণ নিয়ে অভিবাবকদের অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী। তিনি বলেন শিশুরা সংক্রমিত হলেও খুব বেশমাত্রায় অসুস্থ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। শিশুদের মধ্যে মৃত্যুর হারও খুব বলে জানিয়েছেন তিনি।

Share this article
click me!