'যুদ্ধ নেই তবে শান্তিও নেই', লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের সঙ্গে উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন ভারতীয় বায়ু সেনার প্রধান আরকেএস ভাদৌরিয়া। লাদাখে চিনা সেনার অনুপ্রবেশের পরই তিনি পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পূর্ব লাদাখের বেশ কয়েকটি সেক্টরে গিয়েছিলেন। সেই সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলনে। বায়ু সেনার ঘাঁটিগুলিও তদারকি করেছিলেন। ভারতীয় বায়ু সেনা সবরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েদিয়েলেন।
মঙ্গলবর দিল্লিতে ভারতীয় বিমান শিল্প সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বায়ু সেনা প্রধান বলেন উত্তর সীমান্তের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্বস্তিদনক। এখন যুদ্ধ নেই, নেই শান্তিও। পাশাপাশি তিনি বলেন ভারতীয় বায়ু সেনায় রাফালের অন্তর্ভুক্তি অনেকটাই শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। আগামী দিনে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে ভারতকে জয় এনে দিতে অনেকটাই সাহায্য করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তেজস আর সুখোই ৩০ এমকেআই বিমান নিয়েও আশাবাদী ভাদৌরিয়া। তিনি বলেন এর ফলে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধাস্ত্রের ক্ষতমা উপলব্ধি করা যায়। বায়ু সেনা সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই পূর্ব লাদাখ সেক্টরে টহল দিচ্ছে রাফাল। পাশাপাশি তৈরি রয়েছে একাধিক যুদ্ধ বিমান। পূর্ব লাদাখ সীমান্তে বিস্তীর্ণ এলাকায় শীত পড়তে শুরু করেছে। আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সেই কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই ইতিমধ্যেই রসদ আর অস্ত্রশস্ত্র মজুত করা হয়েছে ডেমচেক, চুসুলসহ বেশ কয়েকটি যুদ্ধ ঘাঁটিতে। তাতে রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল বায়ু সেনা। কারণ খাবার ও অস্ত্র পাঠানোর কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল বায়ু সেনার হালকা আর ভারি হেলি কপ্টার।